প্রবাস

ভার্জিনিয়ায় বর্ণমালা স্কুলের ভালোবাসা দিবস উদযাপন

প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ণমালা স্কুলের  আয়োজনে হয়ে গেলো বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ২০২০ । বিগত ৬ বছর ধরে বর্ণমালা স্কুলের ছোট ছোট শিশুরাই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন করে আসছে ।
বড়দের পাশাপাশি ব্যতিক্রমধর্মী এই উদ্যোগ বর্ণমালা স্কুলের অভিভাবকদের সার্বিক সহযোগিতায়- বাংলাদেশ থেকে আগত শিশু  কিংবা আমেরিকান দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, একাত্মতাবোধ, সৃজনশীলতাবোধসহ  পরিবারের মাঝে ভালোবাসার শিকলে বেড়ে উঠার এক অন্যরকম মিলনমেলায় বিশ্ব ভালোবাসা দিবস  রূপান্তরিত হয় - "বর্ণমালা ভালোবাসা দিবস" হিসাবে । যা স্কুলের কোমলমতি শিশুদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় হয়ে উঠে আরো প্রাণবন্ত ।
অনুষ্ঠানের  শুরুতেই ছোটছোট শিক্ষার্থীরা -তাদের পিতামাতাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় -অকৃত্রিম ভালোবাসায়।  বর্ণমালা স্কুলের প্রেসিডেন্ট নাজনীন আখতার আগত সকল অতিথি ও অভিভাবকদের শুভেচ্ছা ও স্বাগত বক্তব্য এবং  স্কুলের সাংস্কৃতিক পরিচালক "স্বর্ণালী ও  স্কুলের অভিভাবক " দোলার" উপস্থাপনায় স্কুলের ছোট্ট সোনামনিদের নিয়ে দলীয় সংগীত - মোদের গরব-মোদের আশা"  পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয়  "বর্ণমালা ভালোবাসা দিবসের মূল অনুষ্ঠান । কবিতা আবৃত্তি, গান ও নৃত্য নিয়ে  দিশা, সামিরা, নাবীও, নিঝুম, ইনারা,ফ্লোরা ও এমেলীদের পরিবেশনা ছিল হৃদয়ছোঁয়া অনুভূতির দোলা । স্কুলের গানের শিক্ষক রিচার্ড সরকার ও জুয়েল বড়ুয়ার হারমোনিয়াম ও তবলায় বর্ণমালা ভালোবাসা দিবসের অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠে আরো প্রাণবন্ত । 
এই ভালবাসার বন্ধনেই আমরা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত হয়ে যাই । রক্তের বন্ধনে হয়তো আমরা ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে সঙ্গায়িত হই, কিন্তু আত্মার বন্ধন বা ভালবাসা ছাড়া  সবই ম্লান হয়ে যায়। এছাড়া ভালবাসা দিবসের একদিনের ক্ষুদ্র গন্ডিতে নয়, আমাদের প্রতিটি দিনই হওয়া প্রয়োজন ভালবাসা দিবস। শুধু নিজের পারিপারিক বলয়ে নয়, কিন্তু সামাজিক বলয়েও ছড়িয়ে পড়ুক আমাদের ভালবাসার ছোঁয়া।

বর্ণমালা স্কুলের সকল ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে "বর্ণমালা ভালোবাসা দিবসের কেক কেটে এবং রাতের বাঙালিয়ানা খাবারের মাধ্যমে শেষ হয়- সুন্দর আগামীর  প্রতাশ্যায় ।