প্রবাস

থাইল্যান্ডের গণকবরে ১০ বাংলাদেশি শরনার্থীর সন্ধান

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের সংখলা প্রদেশে
আবিষ্কৃত গণকবরে অন্তত ২৬টি মরদেহের মধ্যে১০টি বাংলাদেশির সন্ধান পাওয়া গেছে।থাইল্যান্ড ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্যাংককপোস্ট রবিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে।গণকবরের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া আনুজার নামে২৮ বছর বয়সী এক যুবকের উদ্ধৃত দিয়ে এ খবরপ্রকাশ করেছে ব্যাংকক পোস্ট। দুদিন আগেথাইল্যান্ডের দক্ষিণের গভীর জঙ্গল থেকেগণকবরে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের মরদেহেরখোঁজ পাওয়ায় বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।সেখানে আরো ৩২টি গণকবরের সন্ধান মিলেছে।সংখলা প্রদেশে শুক্রবার শরণার্থীদেরগণকবরের কাছ থেকে দুই বাংলাদেশিকে কিশোরউদ্ধার করা হয়। তাদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকরতথ্য জানা গেছে। তারা সবাই ক্যাম্প থেকেপালিয়ে এসেছে। তিনজনই অসুস্থ্য ছিলেন।বাংলাদেশির নাম আনুজার (২৮)। সে নরসিংদীরবাসিন্দা। গণকবরে আরো ১০ বাংলাদেশি ও ৩০ জনরোহিঙ্গার মরদেহ আছে বলে অনুজার জানান। তারাসবাই মালেয়শিয়ার উদ্দেশ্যে দেশত্যাগকরেছিলেন। তবে তাদের থাইল্যান্ডের জঙ্গলেনিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েকমাস ধরে বন্দিআছেন।উদ্ধার হওয়া দুই কিশোর জানান, জঙ্গলে ক্যাম্পটিআট মাস ধরে আছে। ওইখানে কমপক্ষে ৮০০শরণার্থী আছে।আনুজার জানান, দালালদের খপ্পরেপড়ে যারা মুক্তিপণ আদায় করতে পারেনি, তাদেরওই ক্যাম্পে বন্দি রাখা হয়েছিল। মুক্তিপণ দিতেনা পারায় তারা বেঁচে আছে কি মারা গেছেন তারকোনো খোঁজ নিতো না দালালরা। কেও প্রতিবাদকরলে তাকে মারধর করা হতো। ক্যাম্পটিরশরণার্থীদের কখনোই পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হতোনা।আনুজার জানান, মোট আটজন দালাল ক্যাম্পটিনিয়ন্ত্রণ করতো। এদের মধ্যে আহমদ আলী, আনোয়ারও সরিম-ইদাকে চিনেন। দালালরা কেউ রোহিঙ্গা,কেউ মালয়েশিয়ান।পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকাল পর্যন্ত ২৬টিমরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজননারী রয়েছেন। তাদের সবার ডিএনএ টেস্ট করাহচ্ছে। বেশিরভাহ মরদেহ একমাস আগের। এর আগেনদীতে পাওয়া মৃতদেহ এবং সদ্য মৃত লাশও পাওয়াগেছে। ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিন আগে পর্যন্তপাচারকারীরা সেখানে ছিল।পুলিশের ধারণা বেশিরভাগ শরণার্থী শারীরিকনির্যাতনের কারণে মারা গেছেন। লাশগুলোরগায়ে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধভাবে প্রতিবছর বহুলোকথাইল্যান্ডের আসেন। প্রথমে তাদের সীমানারকাছাকাছি কোনো জঙ্গলে রাখা হয়।দীর্ঘঅনেকমাস অবস্থান করার পর সুযোগ বুঝে দুই-তিনজনকরে শহরে পাঠান দালালরা। অনেক শরণার্থীরপরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করেন তারা।ক্যাম্পে অবস্থানরত শরণার্থীদের অসহায়ভাবেদিন কাটাতে হয়। তাদের পর্যাপ্ত খাবার, পানি ওঘুমের সুযোগ দেয়া হয়না। অনাহারে কিংবা অসুস্থহয়ে কেউ মারা গেলে তাদের একসাথে জড়ো করেগণকবর দেয়া হয়।