ঢাকার এক কথিত পীর ও তার স্ত্রীর পাল্লায় পড়ে গৃহত্যাগ করেছেন আমেরিকা প্রবাসী এক গৃহবধূ (৪১)। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের সিলভার স্প্রিং শহরে। গৃহবধূ এখন ঢাকায় পীরের বাসায় অবস্থান করছেন। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভাদার্ত্তী গ্রামে গৃহবধূর বাড়ি। ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, চার বছর আগে পীরের এক মুরিদের মাধ্যমে ফোনালাপে পীরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
পীর ও তার তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী ফোনের মাধ্যমে ধর্মীয় বাণী ও নানাভাবে প্রার্থনার করার পদ্ধতি শিখিতে আকৃষ্ট করে গৃহবধূকে। এভাবে এক পর্যায়ে পীর ওই গৃহবধূর কাছে টাকা দাবি করলে গৃহবধূ নিয়মিত প্রতি মাসে দুইশত ডলার ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে পাঠাতে থাকে।
ভোক্তভোগীরা জানায় বিভিন্ন দেশে পীরের অনেক ভক্ত রয়েছে যারা পীরকে প্রতিমাসে মাসোহারা দেয় প্রার্থনার জন্য।
গৃহবধূ এক পর্যায়ে এতো বেশি মোহাবিষ্ট হয়ে যায় যে, একটা সময় ঘরে ধুপ জ্বালিয়ে দরজা বন্ধ করে বিশেষ কায়দায় নেচে নেচে প্রার্থনা করতো। গৃহবধূর স্বামী বারণ করলে পুলিশের ভয় দেখাতো।
গৃহবধূর এমন আচরণে স্বামীকে পীরের কথিত স্ত্রী তাদের পালক ছেলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। পালক ছেলের সাথে নিয়মিত ফোনালাপে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে গেলে পীরের স্ত্রী তাকে বিয়ে বসার প্রস্তাব দেয়। এবং বিয়ে করে বাংলাদেশে চলে যেতে বলে। কথিত স্ত্রী আরো বলে, প্রতি সোমবার তাদের ঘরে যীশু আসেন। যীশু এসে বলেছেন, তোমার স্বামী ভালো না যেকোন সময় তোমাকে মেরে ফেলবে, তাই এখনই স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দেশে চলে এসো।
অন্ধ ভক্ত গৃহবধূ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে স্বামীকে ডিভোর্স পেপার দিয়ে রাতের আঁধারে গত ১২ আগস্ট পালিয়ে দেশে চলে যায়। এবং সাথে নিয়ে যায় চৌদ্দ বছরের একমাত্র কন্যার পাসপোর্ট, স্বামীর সিটিজেনশিপ সার্টিফিকেট, স্বর্ণালংকার ও ক্যাশ ডলার।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার ফোন নাম্বার ও ব্যাংক একাউন্ট ট্র্যাগ করে জানা যায় সে দেশে চলে গেছে। এবং পীরের পালিত ছেলের সাথে কোর্ট ম্যারেজ করে। উল্লেখ্য এখানে তাদের কোনো ডিভোর্স হয়নি। আমেরিকা আইনে ডিভোর্স সম্পন্ন হতে দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগে। গৃহবধূ চলে যাওয়ার চারদিন পরে সময় ডিভোর্স লেটার হাতে পায় স্বামী ।
এদিকে ঢাকার মহাখালী ১১৫/১৫ পীরের নিজস্ব ফ্ল্যাটে অবস্থানরত ঐ গৃহবধূ জানায়, স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে এসেছি এবং বিয়ে করেছি। অবুঝ কন্যাকে কেন ফেলে এসেছেন? উত্তরে গৃহবধূ বলেন, এই কন্যা আমার না তার দায়িত্ব আমি নিতে পারবো না।
মহাখালীর স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, কথিত এই পীর দীর্ঘদিন ধরে ধর্মের দোহাই দিয়ে এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ভয়ে কেউ কিছু বলছে না।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কথিত এই পীরের বাড়ি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের দেওতলা গ্রামে। পীরের প্রথম স্ত্রী সন্তানসহ বাপের বাড়ি চলে গেলে পীর ধর্মের বয়ান দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করতো। এক পর্যায়ে বক্সনগরের এক মহিলা মুরিদের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়লে অঞ্চলের মানুষ তাকে পিটিয়ে গ্রামছাড়া করে। এক পর্যায়ে পীর ঢাকার দক্ষিণ মহাখালীর একটি বাসায় ধর্ম ব্যবসা শুরু করে।
পীরের প্রথম টার্গেট তরুণদের। ঘরে এনে তাদের ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে। এবং যারা তার ফাঁদে পা দেয় তাদের ছেলে বানিয়ে নামের পদবি এফিডেভিট করে পিতার নামের জায়গায় তার নাম বসিয়ে দেয় এবং ইনকামের জন্য বিদেশ পাঠায়।
বর্তমানে পীরের দুই পালিত ছেলে এবং একটি নিজের একটি ছেলে রয়েছে। দেশ বিদেশ থেকে মুরিদদের পাঠানো অর্থে পীর মহাখালীর ১১৫/১৫ নম্বরের ফ্ল্যাটটি কিনে। এছাড়া তার নাম বেনামে রয়েছে কয়েকটি প্লট ও গচ্ছিত টাকা।
পীরের দ্বিতীয় টার্গেট সুন্দরী তরুণী। প্রথমে তাদের মেয়ে বানিয়ে কৌশলে ঘরে এনে বড় পালক ছেলের সাথে বিয়ে করিয়ে দেয়। এই বিয়ে এক থেকে দুই মাস টিকে পরে মেয়েরা পালিয়ে যায়। এই পর্যন্ত বড় পালক ছেলে আমেরিকা গৃহবধূ সহ চারটি বিয়ে করেছে। এর মূল কাজ হচ্ছে শুধু বিয়ে করা। আমেরিকা প্রবাসীকে ভাগিয়ে আনার উদ্দেশ্য হচ্ছে এক ছেলেকে আমেরিকা যাওয়ার ভিসা সংগ্রহ করা।
সম্প্রতি পীরের এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এলাকায় গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, অচিরেই এই কথিত পীরের গ্রেফতর করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি। করেন এই পর্যন্ত কথিত এই পীর সংসার তছনছ করে দিয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এএল
পীর ও তার তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী ফোনের মাধ্যমে ধর্মীয় বাণী ও নানাভাবে প্রার্থনার করার পদ্ধতি শিখিতে আকৃষ্ট করে গৃহবধূকে। এভাবে এক পর্যায়ে পীর ওই গৃহবধূর কাছে টাকা দাবি করলে গৃহবধূ নিয়মিত প্রতি মাসে দুইশত ডলার ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে পাঠাতে থাকে।
ভোক্তভোগীরা জানায় বিভিন্ন দেশে পীরের অনেক ভক্ত রয়েছে যারা পীরকে প্রতিমাসে মাসোহারা দেয় প্রার্থনার জন্য।
গৃহবধূ এক পর্যায়ে এতো বেশি মোহাবিষ্ট হয়ে যায় যে, একটা সময় ঘরে ধুপ জ্বালিয়ে দরজা বন্ধ করে বিশেষ কায়দায় নেচে নেচে প্রার্থনা করতো। গৃহবধূর স্বামী বারণ করলে পুলিশের ভয় দেখাতো।
গৃহবধূর এমন আচরণে স্বামীকে পীরের কথিত স্ত্রী তাদের পালক ছেলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। পালক ছেলের সাথে নিয়মিত ফোনালাপে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে গেলে পীরের স্ত্রী তাকে বিয়ে বসার প্রস্তাব দেয়। এবং বিয়ে করে বাংলাদেশে চলে যেতে বলে। কথিত স্ত্রী আরো বলে, প্রতি সোমবার তাদের ঘরে যীশু আসেন। যীশু এসে বলেছেন, তোমার স্বামী ভালো না যেকোন সময় তোমাকে মেরে ফেলবে, তাই এখনই স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দেশে চলে এসো।
অন্ধ ভক্ত গৃহবধূ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে স্বামীকে ডিভোর্স পেপার দিয়ে রাতের আঁধারে গত ১২ আগস্ট পালিয়ে দেশে চলে যায়। এবং সাথে নিয়ে যায় চৌদ্দ বছরের একমাত্র কন্যার পাসপোর্ট, স্বামীর সিটিজেনশিপ সার্টিফিকেট, স্বর্ণালংকার ও ক্যাশ ডলার।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার ফোন নাম্বার ও ব্যাংক একাউন্ট ট্র্যাগ করে জানা যায় সে দেশে চলে গেছে। এবং পীরের পালিত ছেলের সাথে কোর্ট ম্যারেজ করে। উল্লেখ্য এখানে তাদের কোনো ডিভোর্স হয়নি। আমেরিকা আইনে ডিভোর্স সম্পন্ন হতে দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগে। গৃহবধূ চলে যাওয়ার চারদিন পরে সময় ডিভোর্স লেটার হাতে পায় স্বামী ।
এদিকে ঢাকার মহাখালী ১১৫/১৫ পীরের নিজস্ব ফ্ল্যাটে অবস্থানরত ঐ গৃহবধূ জানায়, স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে এসেছি এবং বিয়ে করেছি। অবুঝ কন্যাকে কেন ফেলে এসেছেন? উত্তরে গৃহবধূ বলেন, এই কন্যা আমার না তার দায়িত্ব আমি নিতে পারবো না।
মহাখালীর স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, কথিত এই পীর দীর্ঘদিন ধরে ধর্মের দোহাই দিয়ে এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ভয়ে কেউ কিছু বলছে না।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কথিত এই পীরের বাড়ি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের দেওতলা গ্রামে। পীরের প্রথম স্ত্রী সন্তানসহ বাপের বাড়ি চলে গেলে পীর ধর্মের বয়ান দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করতো। এক পর্যায়ে বক্সনগরের এক মহিলা মুরিদের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়লে অঞ্চলের মানুষ তাকে পিটিয়ে গ্রামছাড়া করে। এক পর্যায়ে পীর ঢাকার দক্ষিণ মহাখালীর একটি বাসায় ধর্ম ব্যবসা শুরু করে।
পীরের প্রথম টার্গেট তরুণদের। ঘরে এনে তাদের ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে। এবং যারা তার ফাঁদে পা দেয় তাদের ছেলে বানিয়ে নামের পদবি এফিডেভিট করে পিতার নামের জায়গায় তার নাম বসিয়ে দেয় এবং ইনকামের জন্য বিদেশ পাঠায়।
বর্তমানে পীরের দুই পালিত ছেলে এবং একটি নিজের একটি ছেলে রয়েছে। দেশ বিদেশ থেকে মুরিদদের পাঠানো অর্থে পীর মহাখালীর ১১৫/১৫ নম্বরের ফ্ল্যাটটি কিনে। এছাড়া তার নাম বেনামে রয়েছে কয়েকটি প্লট ও গচ্ছিত টাকা।
পীরের দ্বিতীয় টার্গেট সুন্দরী তরুণী। প্রথমে তাদের মেয়ে বানিয়ে কৌশলে ঘরে এনে বড় পালক ছেলের সাথে বিয়ে করিয়ে দেয়। এই বিয়ে এক থেকে দুই মাস টিকে পরে মেয়েরা পালিয়ে যায়। এই পর্যন্ত বড় পালক ছেলে আমেরিকা গৃহবধূ সহ চারটি বিয়ে করেছে। এর মূল কাজ হচ্ছে শুধু বিয়ে করা। আমেরিকা প্রবাসীকে ভাগিয়ে আনার উদ্দেশ্য হচ্ছে এক ছেলেকে আমেরিকা যাওয়ার ভিসা সংগ্রহ করা।
সম্প্রতি পীরের এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এলাকায় গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, অচিরেই এই কথিত পীরের গ্রেফতর করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি। করেন এই পর্যন্ত কথিত এই পীর সংসার তছনছ করে দিয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এএল