প্রবাস

সিডনীর নীপবন পল্লীতে বসন্ত উৎসব

ক্রীড়া ও সংস্কৃতি’ প্রকল্প নীপবন পল্লী সিডনীতে বসন্ত উৎসব পালন করেছে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি রবিবার। একই দিনে ভালোবাসা দিবস থাকায় দিনটি উদযাপিত হয়েছে আরো বর্ণিল আয়োজনে। কোভিড-১৯ বিধিমালার কারণে এবারের আয়োজন শুধুমাত্র সদস্যদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো। তবুও সেদিন হলুদ ও লাল পোশাকে সজ্জিত নীপবনের বিস্তৃত খোলা প্রাঙ্গন হয়ে উঠেছিলো বসন্ত সমীরণে মুখরিত।

বিকেলের শুরুতেই ছিল বৃক্ষ পরিচর্যা ও খেলাধুলার আয়োজন। বর্ণিল পোশাকে নীপবনের সদস্যদের মনে হচ্ছিলো যেন একেকটা প্রজাপতি আর রংবেরঙের একঝাক ফড়িংয়ের মনমাতানো উড়াউড়ি। বসন্ত এসে গেছে, বসন্ত এসে গেছে’-এই বার্তা নিয়ে ফাগুনরঙা বাংলাদেশের এক খণ্ডচিত্র ছিলো নীপবনের সবুজ প্রান্তর।

নিয়মিত প্রার্থনা শেষে সন্ধ্যার পর শুরু হয় ভালোবাসা দিবসের নান্দনিক আয়োজন। পরিচয় ও পরিণয়ের মিষ্টি কথামালা নিয়ে সাজানো ছিলো রোমান্সের যুগল কথকথা। ভালোবাসার কবিতা, গান আর প্রেমের সংলাপে আবৃত ছিলো পুরো আয়োজনটি। নান্দনিক উপস্থাপনায় ডঃ আসাদ শামস ও ডঃ রোখসানা জেবার ভালোবাসার গল্পটি যেন মুগ্ধতা ছড়ানো এক প্রেমের কাব্য। খন্দকার মামুন, শিরিন শাওন ও শায়লা জাহিদ লিমার সৌজন্যে দুটি ভ্যালেন্টাইন কেক কাটার মুহূর্তটি ছিলো অপূর্ব আনন্দে মাখামাখি। অনুষ্ঠানে নীপবনের নিয়মিত নৃত্যশিল্পী নুশাবা রহমান ও মাইশারা ইসলামকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।পাশাপাশি আঞ্জুমান বেবী ও মাসুম আহমেদকে পুরস্কৃত করা হয়সেরা বসন্ত পোশাক ও ভ্যালেন্টাইন যুগল হিসেবে। সেইসাথে নীপবন পল্লীর সদস্যদের সম্মিলিত নৈমত্তিক আপ্যায়ন ছিলো অতুলনীয়।     

অনুষ্ঠানের সাউন্ড সিস্টেম ও ভিডিও ধারণে ছিলো মোস্তাফিজুর রহমান। নীপবন  পল্লীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডঃ আসাদ শামস ও ডঃ মাসুম আহমেদের সার্বিক ত্বত্তাবধানে কোভিড বিধিমালা অনুসরণ পূর্বক বসন্ত উৎসবটি ছিলো উৎসব মুখরিত বাংলা সংস্কৃতির একটি ছোট্ট খণ্ডচিত্র।                



এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এ