প্রবাস

পেনসিলাভানিয়ার সড়ক দুর্ঘটনার কবলে বাংলাদেশী দম্পতি: স্বামী নিহত, স্ত্রী গুরুতর আহত

পেনসিলভানিয়ায় হাইওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো তরুন এমরান হোসেন ও মারাত্মক আহত সামিহা আলাদিন মাত্র ২৩ দিন আগে তাদের নতুন জীবন শুরু করেছিলেন। নব দম্পত্তির ঘনিষ্ট বন্ধু সাঈফ হৃদয় এ তথ্য জানিয়ে বলেন, গত মাসে অনেকটা সাদামাটা অনাড়ম্বরভাবে অল্প সংখ্যক পরিচিতদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়েছিল।

স্বপ্নের আমেরিকায় নতুন জীবন গড়তে ২০১৯ সালে নোয়াখালির সোনাইমুড়ি উপজেলার আমিশপাড়া ইউনিয়নের নাওরি গ্রামের ছেলে এমরান নিউইয়র্কে এসে জীবন সংগ্রামের পাশাপাশি ভবিষৎ জীবনের নতুন জাল বুনে বিয়ে করেছিলেন নিউইয়র্কে জন্ম নেয়া সামিহাকে। লিম্যুজিন চালিয়ে জীবনের চাকা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তরুন ইমরান। কিন্তু তিন বছর পর সব সম্ভাবনা ও স্বপ্নকে পেছনে ফেলে ২২ এপিল লাশ হয়ে নিজ গ্রামে ফিরে গেছেন ২৩ বছরের এমরান।

ব্রুকলীনে ২০০২ সালে জন্ম সামিহার। স্ট্যাটান আইল্যান্ডের একটি স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে পেনসিলভানিয়ার পেন স্টেট কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন মাস্টার্স করতে।

সপ্তাহে দুদিন সামিহাকে তার কলেজে যেতে হয় ক্লাস করতে। স্বামী এমরান ড্রাইভ করে নিয়ে যেতেন সামিহাকে। সেদিন ১৯ এপ্রিল রাতে ক্লাস শেষ করে নিউইয়র্কে ফেরার পথে মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এমরানের জীবনের অবসান হলেও সামিহার সামনে এক দুর্বিসহ জীবন অপেক্ষা করছে। দুর্ঘটনায় সামিহার ডান পা রক্ষা করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহে রয়েছেন চিকিৎকসরা। পায়ের ফ্র্যাকচারে স্টীলের পাত বসাতে পারছেন না তারা। তা থেকেই ধারণা করছেন পা হয়তো রক্ষা করা যাবে না। এছাড়া কাধেও মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন সামিহা। শরীরের অন্যান্য অংশেও পেয়েছেন আঘাত।   এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এ

[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]