প্রবাস

ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামের মৃত্যু

দেশে এবং প্রবাসের অতিপরিচিত মুখ হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম (৪৩) এর মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আমেরিকায় আসেন। খুব শীঘ্রই স্ত্রী এবং সন্তানকেও আমেরিকায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল তার। মৃত জহিরুল ইসলামের ভাই ইমদাদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি গাড়ি পার্ক করা অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মেডিকেল রিপোর্ট পেলে এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ইমদাদুল ইসলাম জানান, 'জহিরুল ইসলাম লিফট এর গাড়ি চালাতেন। প্রতিদিনের মতো ১৬ ডিসেম্বর সকালে তিনি কাজে যান। আমিও রাতের বেলায় একই গাড়িটি চালাই। বিকেল ৩টায় তার ফোনে কল দিই। কিন্তু সে ফোন ধরছিলো না। গাড়িও ট্র্যাকিং করতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টা দিকে আমি ও আমার রুমমেট গাড়ি নিয়ে কুইন্স বুলেভার্দে যেয়ে দেখি গাড়িটি নেই। পরে জিপিএস থেকে দেখি গাড়ি পাশেই কার্নিশ এবং আলবিউ অ্যাভিনিউ এর মধ্যে পার্ক করা। আমরা সেখানে যেয়ে গাড়ির দরজা খুলে দেখি সে নড়ছে না ও তার শরীর নিথর। আমরা সাথে-সাথেই পুলিশ কল করি। পুলিশ এবং অ্যাম্বুলেন্স আসে। স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জহিরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন'। জহিরুল ইসলামের নামাজে জানাজা গত ১৭ ডিসেম্বর বাদ মাগরিব জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ওইদিন সন্ধ্যায় আমিরাত এয়ারলাইন্সযোগে তার লাশ বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানের জানাজা শেষে তাকে হবিগঞ্জের মাধবপুরে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে। জহিরুল ইসলাম কোনো রোগে আক্রান্ত ছিলো কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইমদাদুল ইসলাম জানান, তার ডায়াবেটিস এবং হাই ব্লাড প্রেশার ছিলো। জহিরুল ইসলাম পরিবারের বড় ছেলে। বাংলাদেশে তার স্ত্রী, ৮ বছর এবং সাড়ে ৬ বছরের দুটো সন্তান রয়েছে। বাংলাদেশে থাকাকালীন সে জাহাজে চাকরি করতো। এলএবাংলাটাইমস/ওএম