প্রবাস

মাইন্সে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জার্মান ও বাংলাদেশীদের মিলনমেলা

বাংলাদেশের পাশাপাশি বহির্বিশ্বের নানা জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান। শনিবার জার্মানির মাইন্স নগরীতে জার্মান-বাংলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাইনলান্ড ফালশ এর প্রাদেশিক সংসদের সদস্য এবং সিডিইউ মাইন্স শাখার সভাপতি ভোলফগাং রাইশেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট জার্মান রাজনীতিক এবং শিল্পপতি লুকাস আউগুস্তিন এবং সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সিডিইউ মাইন্স শাখার কার্যকরী পরিষদের সদস্য কার্স্টেন লাংগে। অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন হাসিনা খান তানিয়া এবং আব্দুল হাই। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং রাজনীতিক ইউনূস আলী খান, সহ-সভাপতি আসমা খান, বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মাহমুদুল গনি, বাংলা-জার্মান প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান লিটন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, জার্মানির সভাপতি মনির হায়দার, সামাজিক সংগঠন ‘শেষ ঠিকানা’র সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম, বাংলা-জার্মান সমিতি ফোর্শহাইম এর সভাপতি মনা সাইদ।

সাংস্কৃতিক পর্বে গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় ইউরোপের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী আব্দুল মুনিম, কনা ইসলাম, জালাল আহমেদ এবং নিম্মি কাদের। কবিতা আবৃত্তি করেন কবি মীর জাবেদা ইয়াসমিন ইমি এবং হোসাইন আব্দুল হাই। বাঁশি বাজিয়ে শোনান রবি রায় এবং নৃত্য পরিবেশন করেন লিপিকা আহমেদ এবং পুজা ঘোষ।
বাংলাদেশ এবং জার্মানির জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবস, বড় দিন এবং নতুন বছরের আগমনের প্রেক্ষাপট ঘিরে বাংলাদেশী এবং জার্মানদের এই মিলনমেলা। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালের বীর শহীদদের, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীর শহীদদের এবং ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের এবং সাম্প্রতিক প্যারিস হামলায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সেসময় জার্মানির সহযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে বক্তাগণ বলেন, এই হামলার জন্য কোনভাবেই মুসলমানরা কিংবা ইসলাম ধর্ম দায়ী নয়। বরং কিছু বিভ্রান্ত এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী মানুষ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটায়। কিন্তু এর ফলে ইউরোপীয় সমাজে সব ধর্ম, বর্ণ ও জতির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান কোনভাবেই বাধাগ্রস্ত হতে পারে না এবং এসব ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।