প্রবাস

ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোসেতে বাঙ্গালী বাবা মা হত্যার দায়ে ২ ছেলে গ্রেপ্তার

গত ২৪ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান জোসে শহরে এক বাংলাদেশি দম্পতির গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, গত রোববার বিকেলে তারা বাংলাদেশি নাগরিক গোলাম রাব্বি (৫৯) এবং তার স্ত্রী শামিমা রাব্বির (৫৬) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে।

মা ও বাবা কে গুলি করে হত্যার সন্দেহে নিহত দম্পতির দুই ছেলে কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের একজনের বয়স ১৭, আরেকজনের বয়স ২২ বছর। গত বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।



১৭ বছর বয়সী ছেলেকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। পরে বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করে। বড় ছেলেকে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে শান্তা ক্লরা কাউন্টি জেলে পাঠিয়েছেন । ছোট ছেলেকে জুভেনাইল হলে রাখা হয়েছে।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েকদিন ধরে গোলাম রাব্বির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গত রোববার বিকেলে তার কয়েক বন্ধু সান জোসের বাড়িতে যান। গিয়ে তারা বাড়ির দরজা খোলা পান। ঘরে ঢুকেই তাদের চোখে পড়ে খুনের ভয়াবহ দৃশ্য। কাঠের মেঝেতে পড়ে ছিল তাদের মৃতদেহ। ঘটনাস্থলে একটি চিরকুটও পাওয়া গেছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘দুঃখিত, আমার প্রথম খুনটি ছিল বিরক্তিকর’। ওই দম্পতির দুই ছেলেও তাদের সঙ্গে থাকতেন।




তদন্তকারীরা পূর্বে ধারনা করে বলেছিলেন, তারা পরিচিত কোন ব্যক্তির দ্বারা নিহত হয়েছেন। যারা স্থানীয় ইসলামিক এবিং বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে যুক্ত।

এটি ছিল সান জোসেতে চলতি বছরের ১৫ ও ১৬ তম হত্যাকাণ্ড যা বাড়িতে ঘটেছে। বর্তমানে এটি আমেরিকার একটি জাতীয় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ খুব দ্রুত ছোট ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।



অপরদিকে গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত বড়ছেলে নিখোঁজ ছিল। তাদের এক আত্মীয় জানান, উক্ত দুই ছেলে শনি বার সকালে অকল্যান্ডে গিয়েছিল এবং হত্যাকাণ্ডের সময় তারা এ শহরে ছিল না। আলেন ট্রং নামের তাদের এক প্রতিবেশি জানান, “এটা স্বস্তির ব্যাপার যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লোক জন এখন একটু শান্তি পাবে”। বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ সব জায়গায় ঘটনা টি টক অব দি টাউন।