আমেরিকা

শেষ মুহুর্তে যুদ্ধক্ষেত্রে ট্রাম্প-বাইডেন

নির্বাচনের একদম দোরগোড়ায় এসে 'ব্যাটেলগ্রাউন্ড' রাজ্যগুলো চষে বেড়াচ্ছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন ও রিপাবলিকান প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সুইং স্টেট খ্যাত রাজ্য পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন ও নর্থ ক্যারোলাইনাতে নির্বাচনের আগের দিন নির্বাচনী প্রচারণায় নামছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে পাঁচটি র‍্যালিতে অংশ নিবেন ট্রাম্প। অপরদিকে বাইডেন পেনসিলভেনিয়া ও ওহাইওতে প্রচারণায় নামছেন। জনমত জরিপে দেখা গেছে, ব্যাটেলগ্রাউন্ড খ্যাত সুইং স্টেটগুলোতে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। তবে ট্রাম্পও খুব একটা পিছিয়ে নেই। নির্বাচনে জিততে ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ঠিকই আদায় করতে পারবেন ট্রাম্প- এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। পরাজয় এড়াতে প্রচারণায় জোর দিয়েছেন ট্রাম্প। ১৯৯২ সালের পর কোনো রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় মেয়াদে জয় পেতে ব্যর্থ হয়নি। তাই ২০১৬ সালে জয় পাওয়া রাজ্যগুলোতেই মূলত প্রচারণা সক্রিয় রেখেছেন তিনি। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প সর্বশেষ প্রচারণা চালাবেন মিশিগানে। ২০১৬ তেও মিশিগানেই সর্বশেষ প্রচারণা করেছিলেন তিনি। ফলাফল ইতিবাচক হওয়ায় এবারো একই পথে হাঁটছেন ট্রাম্প। অপরদিকে, জো বাইডেন ও তাঁর রানিং মেট কামালা হ্যারিস সোমবার পেনসেলভেনিয়া চষে বেড়াবেন। এরপর সন্ধ্যায় শিল্পী লেডি গাগার সাথে পিটসবার্গে র‍্যালিতে যোগ দিবেন বাইডেন। এর আগে ২০১৬ তে হারানো ওহাইওতেও জোর প্রচারণা চালাবেন তিনি। জো বাইডেনের পক্ষে নির্বাচনের আগেভাগে জোর প্রচারণায় নামছে বারাক ওবামাও। আটলান্টা এবং মিয়ামিতে জো বাইডেন এর সমর্থনে র‍্যালিতে যোগ দিবেন ওবামা। এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্যান্য নির্বাচনের থেকে এবারের নির্বাচন অনেক আলাদা। ইতোমধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ভোটার আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। পোস্টাল ভোট ও মেইল ভোটিং এ এবার রেকর্ড হয়েছে। প্রায় ৯৫ মিলিয়ন বাসিন্দা ইতোমধ্যে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ফেলেছে। এবারের নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতোমধ্যে বিখ্যাত শপিং ডেস্টিনেশন রোডিও ড্রাইভ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও নির্বাচনকে ঘিরে কোনোরকম সহিংসতা যেনো উস্কে না যায়, সেদিক নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য রোধে নজর রাখছে ফেসবুক ও টুইটার। উস্কানী ও যেকোনো ধরণের দাঙ্গা রোধে বিভ্রান্তিকর কন্টেন্ট মুছে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক। এছাড়া টুইটার বিভ্রান্তিকর কন্টেন্টে লেবেল লাগিয়ে সতর্ক করে দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়েছে৷ এলএবাংলাটাইমস /ওএম