এখন পর্যন্ত নির্বাচনের ফল মেনে নেয়নি ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান পার্টির সিনেটররাও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে আছেন। অনেক রিপাবলিকান সিনেটররা জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট হিসেবে মেনে নিলেও অনেকেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে হার স্বীকার করে নেয়নি।
আর এই ঘোলাটে পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় নাগরিক প্রণোদনার কার্যক্রম পুরোপুরি থমকে গেছে। কবে নাগাদ কর্মহীন বাসিন্দারা প্রণোদনার অর্থ পাবেন, সেই বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছেনা। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় হাউজ অব কংগ্রেসে প্রণোদনার আলোচনা স্থবির হয়ে আছে।
আর এই স্থবির পরিস্থিতির জন্য রিপাবলিকানদের অসহযোগীতাকে দায়ী করছেন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এখন পর্যন্ত ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মুনচিনের সাথে আলোচনার টেবিলে বসতে না পারার জন্য রিপাবলিকানদের দায়ী করেন তিনি।
ন্যান্সি পেলোসি বলেন, রিপাবলিকানদের উচিত দ্রুত নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে প্রণোদনার বিষয়ে আলোচনায় ফিরে আসা। এটি দুঃখজনক যে রিপাবলিকানরা জনগণের ইচ্ছার মর্যাদা দিচ্ছে না।
এদিকে, দ্বিতীয় প্রণোদনার অর্থ কতো নির্ধারিত হবে, এই বিষয়ে গত কয়েক মাস ধরেই দর কষাকষি চালিয়ে যাচ্ছে ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকানরা। মার্চে রিপাবলিকানরা প্রণোদনার জন্য ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার বরাদ্দ ঘোষণা দিলে ডেমোক্রেটিকরা সেই প্রস্তাবে হাউজ অব কংগ্রেসে আপত্তি প্রকাশ করে। ডেমোক্রেটিকরা প্রণোদনার জন্য ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার বরাদ্দের দাবি করে।
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি নাগরিকদের জন্য সরাসরি ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার অনুমোদন করতে প্রস্তুত আছেন। কিন্তু এখন নির্বাচনের ফল মেনে না নেওয়ায় আলোচনাই প্রণোদনার আলোচনাই থেমে গেছে৷
এলএবাংলাটাইমস /ওএম