চীনের মিলিটারির মালিকানাধীন অথবা মিলিটারি সম্পৃক্ততা আছে এমন কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অর্থ লগ্নি করতে পারবেনা কোনো মার্কিন লগ্নিকারক।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করে কার্যনির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।
আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ণ করে এমন ৩১টি চায়না প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সরাসরি চীন মিলিটারি জড়িত অথবা পরোক্ষ ভাবে চীন মিলিটারির প্রভাব রয়েছে।
অন্যতম বৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি হুয়াইও এবং হিকভিশন এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে চীনের প্রতিষ্ঠান চায়না টেলিকম, চায়না মোবাইল ইত্যাদি।
এর ফলে মার্কিন লগ্নীকারকরা চীন মালিকাধানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে কোনো লেনদেন করতে পারবে না। যদি ইতোমধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়ে থাকে, তবে ২০২১ সালের মধ্যে সকল চুক্তি নিষ্পত্তি করে বের হয়ে আসতে হবে।
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই কার্যনির্বাহী আদেশের পর থেকেই বেইজিং এর স্টক মার্কেটে প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমতে শুরু করেছে। কিছুকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মূল্য সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।
এই কার্যনির্বাহী আদেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে চীনে ফরেন মিনিস্ট্রির মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবনিন বলেন, এই নির্দেশের ফলে চীনের কোম্পানিগুলোর ন্যায্য মূলধন থেকে বঞ্চিত হবে৷ পাশাপাশি অনেক দেশের লগ্নিকারকরা বিরপর্যয়ের মুখে পড়বে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম