সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের দখলে রাখতে দলের মনোনীত প্রার্থীদের জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই জর্জিয়ায়৷ আর গুরুত্বপূর্ণ এই জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে কৃষ্ণাঙ্গরা। তাই জর্জিয়া জুড়ে 'কালো' ভোটারদের দলে টানতে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ডেমোক্রেটিক দল ও এর সমর্থক সংগঠনগুলো।
জর্জিয়ায় জয় পেতে কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের নিজেদের দলে টানতে বিভিন্ন রকম প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে ডেমোক্রেটিক প্রার্থীরা। ভার্চুয়াল ইভেন্ট, টিভিতে বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছে প্রার্থীরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ডেমোক্রেটিকদের জন্য কৃষ্ণাঙ্গ ভোটাররাই শেষ ভরসা৷ যদি নির্বাচনে কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের উপস্থিতি কম হয়, তবে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতভাবেই হারাবে ডেমোক্রেটিক দল।
জর্জিয়া বরাবরই রিপাবলিকানদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে সেখানে এবার জয় পান ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন। এর কারণ হিসেবে জর্জিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে রানঅফ নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী বরাবরই শক্ত অবস্থানে রয়েছে জর্জিয়ায়।
এর আগে বেশ কয়েকদিন আগে থেকে জর্জিয়ার রানঅফ নির্বাচনের আগাম ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে৷ আগামী ৫ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে৷
জর্জিয়ায় জয় পেয়ে সিনেটের দখল ডেমোক্রেটরা নিতে পারলে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য তাঁর নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন খুব সহজ হয়ে যাবে। আর সিনেটের দখল রিপাবলিকানদের কাছে গেলে পরিবেশ ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন বেশ বেগ পেতে হবে বাইডেন প্রশাসনকে।
জর্জিয়ার রানঅফ নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিনেটর ডেভিড পারডিউ এবং ক্যালি লোয়েফলার। অপরদিকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন দুই ডেমোক্রেটিক সিনেটর জন অসঅফ ও রাফায়েল ওয়ারনক।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম