আমেরিকা

বাইডেনের শপথ গ্রহণকে ঘিরে আবারো সহিংসতার শঙ্কা: এফবিআই

আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন জো বাইডেন। বাইডেনের এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন রাজধানী ওয়াশিংটনসহ ৫০টি রাজ্যে সশস্ত্র সহিংসতার শঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে এফবিআই। এফবিআই সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে ক্যাপিটল হিলে হওয়া সহিংসতার থেকেও আরো রক্তক্ষয়ী ও মারাত্মক হতে পারে ২০ জানুয়ারির সহিংসতা। এফবিআই অভ্যন্তরীণ বুলেটিন প্রকাশের মাধ্যমে জানায়, ট্রাম্পপন্থীরা এই সপ্তাহ থেকেই বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করতে পারে। আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলমান থাকলে সেটি মারাত্মক সহিংসতায় রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্দোলন ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকে 'উগ্র চরমপন্থী' গোষ্ঠীর সাথে জড়িত রয়েছে বলেও জানায় এফবিআই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এফবিআই এর অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সহিংসতার শঙ্কা রয়েছে। ক্যাপিটল হিলে ১৭ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে জো বাইডেনের জয় অনুমোদনে সিনেটের অধিবেশনের দিন ক্যাপিটল হিলের সহিংসতার বিষয়েও আগে থেকে সতর্ক করেছিলো এফবিআই। ন্যাশনাল গার্ড ব্যুরোর প্রধান আর্মি জেনারেল ডেনিয়েল হোকেনসন জানায়, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে যে কোনো ধরণের সহিংসতার বিষয়ে ন্যাশনাল গার্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তিনি জানান, ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই ন্যাশনাল গার্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করছে। এর আগে গত বুধবার জো বাইডেনের জয় অনুমোদন করতে সিনেট অধিবেশন শুরু হওয়ার এক পর্যায়ে দ্য ইউএস ক্যাপিটল ভবন বা যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে উগ্র ট্রাম্প সমর্থকেরা হামলা করে। এ সময় সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন মারা যায়৷ দাঙ্গাকারীরা ভবনে হামলা করলে সিনেট খালি করে দেয়া হয়। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ স্থানে। ওয়াশিংটন মেয়র ম্যুরেল বাউজার ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেন। সামাজিক মাধ্যমে হামলার প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে দরজা, জানালা ভাঙা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিনেট চেম্বার। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাউজ স্পিকার ন্যান্সির অফিস। আইনশৃঙখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানায়, ক্যাপিটল ভবনে আইইডি বা ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসও পাওয়া গিয়েছিলো। এলএবাংলাটাইমস/ওএম