আমেরিকা

কবে নাগাদ পাশ হতে পারে তৃতীয় প্রণোদনা প্যাকেজ?

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষিত ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের তৃতীয় নাগরিক প্রণোদনা প্যাকেজ কবে পাশ হবে, এই নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। মধ্য-মার্চে ১১ দশমিক ৪ মিলিয়ন কর্মীর বেকারভাতার মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে। বাইডেন প্রশাসন চাইছে, এর আগেই প্রণোদনা প্যাকেজটি পাশ করিয়ে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের হাতে স্টিমুলাস চেকের অর্থ তুলে দিতে। কিন্তু আসলে এই স্টিমুলাস চেকের অর্থ কবে নাগাদ পাওয়া যাবে, কবে বিলটি চূড়ান্তভাবে পাশ হবে- সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এর আগে বেশকিছু ধাপের মধ্য দিয়ে যেতে হবে এই বিলটিকে। সিনেটের তর্ক বিতর্ক শেষে ভোটাভুটির মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে বিলের ভাগ্য। কবে নাগাদ বিলটি পাশ হতে পারে, এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা না গেলেও সিনেটের কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে কিছুটা অনুমান করা সম্ভব। তার আগে জেনে নিন তৃতীয় নাগরিক প্রণোদনার আওতায় কী রয়েছে? ১) করোনার কারণে কর্মহীন বাসিন্দারা সাপ্তাহিক ৪০০ ডলার করে কর্মহীন ভাতা পাবেন। ২) বছরে ৭৫ হাজারের নিচে একক আয়কারী প্রত্যেকে পাবেন ১৪০০ ডলার স্টিমুলাস চেক। ৩) বিবাহিতরা যাদের আয় বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, তারা স্টিমুলাস চেকের আওতায় ২৮০০ ডলার পাবেন। ৪) যাদের পরিবারে বাচ্চা আছে তারা প্রতি পোষ্যের জন্য ১৪০০ ডলার করে পাবেন। এর মানে একটি পরিবারে চারজন সদস্য থাকলে তারা পাবেন ৫ হাজার ৬০০ ডলার। কবে পাওয়া যাবে স্টিমুলাস চেকের অর্থ? কবে হবে সিনেটের ভোটগ্রহণ? বাইডেন ঘোষিত ‘আমেরিকান রেসকিউ প্ল্যান’ নামক তৃতীয় নাগরিক প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ খুব ‘কুইক একশনের’ আওতায় পাশ করাতে চাইছেন বাইডেন। তৃতীয় নাগরিক প্রণোদনা প্যাকেজের বিলটি এখন সিনেটে পাশের অপেক্ষায় আছে। যদি সিনেট চলতি সপ্তাহের মধ্যে সিনেটে ডেমোক্রেটিকরা তাদের নিজস্ব প্রস্তাবনা পাশ করাতে পারে, তবে হাউজে এটি পুনরায় পাশের সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ১৪ এপ্রিলের আগেই বিলটি বাইডেন চূড়ান্তভাবে সই করতে পারবেন। কর্মহীনদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই বর্ধিত ভাতা সমন্বয়ের সুযোগ থাকবে তখন। এরপরই আইআরএসের মাধ্যমে স্টিমুলাস চেকের অর্থ বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছে যেতে পারে। আগামী বুধবার সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমার বিলটি আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেটে উপস্থাপন করবে। পরবর্তীতে ২০ ঘণ্টা বিতর্কের পর বিলটির বিষয়ে ভোটাভুটি হবে। আগামী শুক্রবার সকালের মধ্যে ভোটের ফলাফল চূড়ান্তভাবে জানা যাবে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম