ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত অভিবাসন নীতি ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞা’র কারণে যেসব ভিসা প্রত্যাশীদের আবেদন পূর্বে বাতিল হয়ে গেছে, তারা আবারো পুনরায় ভিসার আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
সোমবার (৮ মার্চ) স্টেট ডিপার্টমেন্ট এই ঘোষণা দিয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ও আফ্রিকান ১৩টি দেশের বাসিন্দাদের উপর থেকে তথাকথিত ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞা’ উঠিয়ে নেওয়ায় আবারো আবেদন করতে পারবে ভিসা প্রত্যাশীরা।
ক্ষমতায় বসে প্রথম দিনেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্প প্রশাসন আরোপিত এই মুসলিম নিষেধাজ্ঞা তুলে দেন। বাইডেন এই নিষেধাজ্ঞাকে আমেরিকার মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানান, ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারির আগে যেসব ভিসা প্রত্যাশীর আবেদন ‘মুসলিম ব্যান’ এর কারণে নাকচ হয়ে গেছে, তারা আবারো আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছে। নতুনভাবে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের আবেদনের ফি জমা দিতে হবে। তবে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারির পর যাদের আবেদন বাতিল হয়েছে, তাদের পুনরায় আবেদন না করলেও চলবে। কিন্তু পুনরায় মূল্যায়নের জন্য তারা আবেদন করতে পারবে।
মূলত যেসব দেশের বাসিন্দাদের ভিসা কম দেওয়া হয়, তাদের ডাইভার্সিটি ভিসা বা ডিবি লটারির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানান নেড প্রাইস।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট কতৃক ট্রাভেল ব্যান নীতি পরিবর্তন করার পর প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে ব্যর্থ হয়েছে।
ট্রাম্প প্রসাশনের আমলে বেশকিছু দেশকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে এবং বেশকিছু দেশের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত মায়ানমার, ইরান, কিরজিখিস্তান, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, নর্থ কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, তানজানিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইয়েমেন ও ইরিট্রিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিলো।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম