মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে শরনার্থী অনুমোদনের সংখ্যা বাড়ানোর কথা জানায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রবিবার (১৭ মার্চ) বাইডেন বলেন, 'চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে শরনার্থী অনুমোদনের সংখ্যা বাড়ানো হবে'।
এর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শরনার্থী নীতিই বহাল রাখেন। প্রতি বছর ১৫ হাজার শরনার্থী অনুমোদন পাবেন মর্মে নির্বাহী আদেশে সই করেন জো বাইডেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শাসনামলে ১৫ হাজার শরনার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমোদন নীতি প্রনয়ণ করেন। ক্ষমতায় বসার দুই মাস পরেই জো বাইডেন বলেন, 'ট্রাম্পের শরনার্থী নীতি আমূল বদলে ফেলা হবে'।
তবে গতকাল সই করা নির্বাহী আদেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিই বহাল রাখলেন জো বাইডেন। ফলে বাইডেনকে ডেমোক্রেটিক নীতিনির্ধারকদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
সমালোচনার প্রেক্ষিতেই অবশেষে জো বাইডেন জানান, এই বছরে শরনার্থী অনুমোদনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এর আগে জো বাইডেন ঘোষণা দেন যে শরনার্থী অনুমোদন সংখ্যা ৬২ হাজারে উন্নীত করা হবে।
শনিবার (১৭ মার্চ) ডেলওয়ারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, 'এ বছর শরনার্থী অনুমোদন সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। দক্ষিণ সীমান্তে শরনার্থীদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে৷ বিশেষ করে অভিভাবক ছাড়া সীমান্তে আসা শিশু-কিশোরদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আমরা চাইলেই এই দুইটি সমস্যা মুহুর্তেই মিটিয়ে দিতে পারি না। তাই শরনার্থী অনুমোদনের সংখ্যাই বাড়ানো হচ্ছে'।
এদিকে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি জানান, চলতি অর্থবছরের অবশিষ্ট দিনগুলোর জন্য আগামী ১৫ মে ‘চূড়ান্ত ও বর্ধিত’ শরণার্থী অনুমোদনের সংখ্যা ঘোষণা করা হবে।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে রেকর্ড পরিমাণ অভিবাসী ঢল সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে আরও মানুষের অনুমোদন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ ১৫ হাজার শরণার্থী অনুমোদন পাবেন। বাইডেন নতুন পরিকল্পনায় দেখা গেছে, আফ্রিকা থেকে সাত হাজার, পূর্ব এশিয়া থেকে এক হাজার, ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া থেকে দেড় হাজার, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল থেকে তিন হাজার, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়া থেকে দেড় হাজার এবং অনির্ধারিত অঞ্চল থেকে এক হাজারজনকে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম