আমেরিকা

জ্বালানি সংকটে তিন রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কলোনিয়াল পাইপলাইন সাইবার হামলার শিকার হয়ে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে জ্বালানি সংকট। বেড়েছে গ্যাসোলিনের দাম। এছাড়া নর্থ ক্যারোলিনা, ভার্জিনিয়া এবং ফ্লোরিডা রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সাউথ ইস্টের গ্যাস স্টেশনগুলোতে গ্যাস সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তাই মোটরচালিত বাহনের মালিকদের প্রতি গ্যাস মজুদ না করার আহবান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১১ মে) গ্যাসোলিনের দাম চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বেড়েছে। ২০১৪ সালের নভেম্বরের পর এবার সর্বোচ্চ গ্যাসের মূল্য গ্যালন প্রতি হয়েছে ২ দশমিক ৯৮ ডলার। আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন এই তথ্য জানিয়েছে। ইউএস এনার্জি সেক্রেটারি জেনিফার গ্রেনহোলম বলেন, 'চালকদের জ্বালানি মজুদ করে রাখার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি'। তিনি বলেন, 'এখনো জ্বালানির ঘাটতি দেখা দেয়নি। তবে নর্থ ক্যারোলিনা, সাউথ ক্যারোলিনা, টেনেসে, জর্জিয়া ও সাউদার্ন ভার্জিনিয়া রাজ্যগুলো মূলত কলোনিয়ান পাইপলাইনের উপর নির্ভরশীল থাকায় সাময়িক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে'। এর আগে গত শুক্রবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ জ্বালানি সরবরাহ প্রতিষ্ঠান কলোনিয়ান পাইপলাইন সাইবার হামলার শিকার হয়ে কার্যক্রম সম্পূর্ন বন্ধ রাখে। গতকাল এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জরুরি আইন জারি করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এই আইনের ফলে, জ্বালানি বহনকারী গাড়ির চালকেরা স্থলপথে আরো বেশি সময় ও সহজে জ্বালানি বহন করতে পারবে। এদিকে, ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) তদন্ত কর্মকর্তারা এই হামলার পিছনে রাশিয়া অথবা ইস্টার্ন ইউরোপের হ্যাকারদের দায়ী করেন। ডার্কসাইড নামের একটি হ্যাকার গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। এদিকে, এফবিআই এর অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সরাসরি প্রত্যাখান করেছেন। গত সোমবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, এই সাইবার হামলার সাথে রাশিয়া সরকারের সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও যারা এই হামলা চালিয়েছে তারা রাশিয়ান হ্যাকার। কলোনিয়ান পাইপলাইন যুক্তরাষ্ট্রের পরিশোধক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গালফ কোস্ট থেকে সাউদার্ন ও ইস্টার্ন অংশে জ্বালানি সরবরাহ করে থাকে৷ এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ব্যারেল গ্যাসোলিন, ডিজেল, জেট ফুয়েল এবং অন্যান্য পরিশোধক জ্বালানি ৫ হাজার ৫০০ মাইল লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করে থাকে। ইস্ট কোস্টের ৪৫ শতাংশ জ্বালানির যোগানদাতা এই প্রতিষ্ঠানটি। শুক্রবার সাইবার হামলার বিষয়টি নজরে আসতেই সম্ভাব্য হুমকির কারণে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে৷ এই হামলায় প্রতিষ্ঠানটি প্রযুক্তি বিভাগের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে ও সাময়িকভাবে কার্যক্রমটি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম