আমেরিকা

অভিবাসনে স্বাস্থ্যসেবার শর্ত বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন দেওয়া হবে না মর্মে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জারি করা নির্দেশনা বাতিল করেছেন বাইডেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, 'এমন নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রের আইনের পরিপন্থী'। শুক্রবার (১৪ মে) প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, জনগণের জন্য সাশ্রয়ী এবং মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমাদের প্রশাসন। যাঁরা আইনসম্মত অভিবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করবেন, তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না'। ২০১৯ সালের অক্টোবরে দেওয়া ট্রাম্পের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, স্বাস্থ্যবিমা ক্রয়ের সক্ষমতা দেখাতে না পারলে অভিবাসন ভিসায় আবেদনকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এ দেশে প্রবেশের ৩০ দিনের মধ্যেই অনুমোদিত স্বাস্থ্যবিমা গ্রহণের সক্ষমতা আছে অথবা আগাম জানা যায়, এমন রোগের যুক্তিসংগত চিকিৎসা ব্যয় বহনের যথেষ্ট অর্থ রয়েছে, সেটি প্রমাণ করার নিয়ম চালু করেছিলেন ট্রাম্প। ৩০ দিনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিমা ক্রয়ে সক্ষম না হলে তাদের আবার নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কথাও বলা হয়েছিল সেই নির্দেশনায়। ট্রাম্পের এমন নির্দেশনার পর অভিবাসী মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। বিশেষ করে পারিবারিক অভিবাসনে যুক্তরাষ্ট্রে আসা লোকজন সমস্যায় পড়েন। অভিবাসনকে নানা কালাকানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে যুক্তরাষ্ট্রে একটি মানবিক অভিবাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্পের সময়ে অভিবাসনবিরোধী বেশ কিছু বৈরী নির্দেশনা তিনি ইতিমধ্যেই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাতিল করেছেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাস্থ্যবিমা ক্রয়ের সক্ষমতা নিয়ে ট্রাম্পের জারি করা নির্দেশনাই শুধু বাতিল করেছেন, এমন নয়। ‘পাবলিক চার্জ’ নামের আরেকটি নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সুবিধা যেমন স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্যনিরাপত্তা, আবাসন নিরাপত্তার মতো সহযোগিতা গ্রহণ করলে গ্রিন কার্ড দেওয়া হবে না। বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে ট্রাম্পের আরোপিত এমন নির্দেশনাটিও আপাতত কার্যকর করা হচ্ছে না। পাবলিক চার্জ কার্যকর করা নিয়ে রক্ষণশীলদের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলাকারীরা পাবলিক চার্জ বিধি কার্যকর করে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করার পক্ষে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম