আমেরিকা

ফেসবুক-অ্যামাজন নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রে আইন প্রস্তাব

বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর একচ্ছত্র আধিপত্য ও ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে পাঁচটি বিল পাশের প্রস্তাবনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা। জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন, অ্যাপল, ফেসবুক ও টুইটারের কার্যক্রম ১৬ মাস পর্যবেক্ষণের পর এই বিল পাশ করা হয়েছে। তথ্য ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবহারগুলো বিলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের আচরণে দীর্ঘমেয়াদে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিল পাশ করতে সর্বসম্মতিক্রমে সমর্থন মিলেনি। ইউএস চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান নেইল ব্রেডলি বিবৃতিতে বলেন, 'ব্যবসায়িক চর্চা না করে নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য আইন পাশ করানো খুবই বাজে নীতি'। এই আইন প্রস্তাবনাটি হাউজের ফ্লোরে পাঠানোর আগে হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটিতে পাঠানোর কথা রয়েছে। আইনটি পাশ হতে হলে প্রস্তাবনাটি হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ, হাউজ অব সিনেট এবং সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। অ্যান্টিট্রাস্ট প্যানেলের ডেমোক্রেটিক চেয়ার এবং এই বিলের সহ-প্রস্তাবক ডেভিড সিসিলিয়ান বলেন,
'আইন পাশ হলে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মনোপলি বিজনেসের বিরুদ্ধে অবস্থান শক্ত হবে ও শক্তিশালী অনলাইন অর্থনীতি গড়ে উঠবে'। প্রস্তাবিত পাঁচটি বিল হলো- ১) দ্য আমেরিকান চয়েস অ্যান্ড ইনোভেশন অলনাইল অ্যাক্ট- এই আইনটি পাশ হলে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পণ্য প্রচারে বাজার নিয়ন্ত্রণের অবৈধ ক্ষমতা হারাবে। ২) দ্য প্লাটফর্ম কম্পিটিশন অ্যান্ড অপরচুনিটি এক্ট অব ২০২১- এই আইন পাশ হলে বড় প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা হলেই ছোট প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান কিনতে পারবে না। ৩) দ্য এন্ডিং প্লাটফর্ম মনোপলিস অ্যাক্ট- বাজারে নিজেদের পণ্য বেঁচতে মনোপলি সিস্টেম প্রতিষ্ঠা থেকে বিরত রাখবে এই আইন। ৪) দ্য অগমেন্টিং কম্পাবিলিটি অ্যান্ড কম্পিটিশন বাই এনাবলিং সার্ভিস সুইচিং অ্যাক্ট অব ২০২১- এই আইনের মাধ্যমে কোনো সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্ম ত্যাগ করা সহজ হবে। ৫) দ্য মার্জার ফিলিং ফি মডারেশন অ্যাক্ট অব ২০২১- এই বিল পাশ হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও ফেডারেল ট্রেড কমিশনের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাবে। সাম্প্রতিক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মনোপলি বিজনেস ও এন্টিট্রাস্ট আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হচ্ছে। ডেমোক্রেটিক রিপ্রেজেনটেটিভ ও বিলের স্পন্সর প্রমিলা জয়াপাল বলেন, 'অ্যামাজন, ফেসবুক, টুইটার ও গুগোলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কোনো কিছু পরোয়া না করার মনোভাব চলে এসেছে'। এলএবাংলাটাইমস/ওএম