আমেরিকা

ট্যাক্স রিটার্ন কংগ্রেসে জমা দিতে ট্রাম্পকে বিচার বিভাগের নির্দেশ

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যাক্স রিটার্ন কংগ্রেসের কাছে জমা দিতে ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিসকে (আইআরএস) নির্দেশ দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। এর আগে ২০১৯ সালে দ্য হাউজ ওয়েজ অ্যান্ড মিনস কমিটির একই অনুরোধ 'অসঙ্গতির' কারণে বাতিল হয়ে যায়। অবশেষে এই নির্দেশের ফলে ট্রাম্পের সাথে ট্যাক্স রিটার্নের রেকর্ড নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই'র অবসান হলো। আইনি ভাবেই ট্রাম্পের উপর খড়গ নেমেছে। সংবিধানে না থাকলেও ১৯৭৬ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সকল প্রেসিডেন্ট তাঁদের ট্যাক্স রিটার্ন জনসম্মুখে প্রকাশ করে আসছে। একমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পই এর ব্যতিক্রম ছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার বিভাগের নির্দেশনা নিয়ে এখনো জনসম্মুখে কিছু বলেননি। এই নির্দেশনার বিপরীতে ট্রাম্পের আদালতের মাধ্যমে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে ক্যাপিটল হিলে রিপানলিকান আইনপ্রণেতারা এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, বিচার বিভাগের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে তাঁর অর্থনৈতিক কার্যক্রম আইআরএস দ্বারা নীরিক্ষণ হতো। তাই তিনি আর ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করেনি। অপরদিকে আইআরএস জানায়, নীরিক্ষণ প্রক্রিয়া থাকলেও কর রিটার্ন প্রকাশ করতে বাধা নেই। এর আগে দ্য হাউজ ওয়েস অ্যান্ড মিনস কমিটি দাবি করে, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কর বিষয়ে কোনো আইন ভঙ্গ করেছেন কী না, সেটি নীরিক্ষণ করতেই ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করা জরুরি। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বিচার বিভাগ এর আগে ট্রাম্পের ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করতে আইনত বাধা দেয়। তখন বিচার বিভাগ জানায়, ডেমোক্র‍্যাট নিয়ন্ত্রিত হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন করতে ট্যাক্স রিটার্ন দেখতে চাইছে। শুক্রবার (৩০ জুলাই) জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট অফিস অব লিগ্যাল কাউন্সিল জানায়, ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করতে চাওয়ার কতো পর্যাপ্ত কারণ কমিটির হাতে রয়েছে। হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বিচার বিভাগের এই নির্দেশনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সুরক্ষা ও গণতন্ত্রের কী ক্ষতি করেছেন ট্রাম্প, তা জানার অধিকার মার্কিনীদের আছে'। ফেব্রুয়ারিতে ইউএস সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের ট্যাক্স রিটার্ন ও অন্যান্য অর্থনৈতিক রেকর্ড নিউ ইয়র্কের পাবলিক প্রসিকিউটরসদের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে ট্রাম্প গ্র‍্যান্ড জুরির মাধ্যমে এই আইনি লড়াই দিয়ে নিজেকে সুরক্ষা করে৷ সেই সাথে ট্রাম্প যে কোনো ট্যাক্স কেলেঙ্কারির বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম