আমেরিকা

ক্লাসরুমে মাস্ক ব্যবহার করলে বেতন দেওয়া হবে না সংশ্লিষ্টদের!

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসান্টিস বলেছেন, যেসব স্কুলে মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা জারি থাকবে, সেই স্কুলের নীতিনির্ধারকদের বেতন দেওয়া হবে না। ফ্লোরিডার গভর্নর বলেন, 'রাজ্য চাইলে ওইসব স্কুলের বোর্ড অব মেম্বার অথবা ডিস্ট্রিক্ট সুপারইন্টেনডেন্টদের বেতন বন্ধ করে দিতে পারে'। রন ডেসান্টিস বরাবরই করোনা বিধিনিষেধের বিপক্ষে কথা বলে এসেছেন। এর আগে স্কুলে মাস্কের প্রয়োজন নেই মর্মে একটি নির্বাহী আদেশ দেন তিনি। তবে অনেক ডিস্ট্রিক্ট এই আদেশের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে জানায়, তাদের মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন আছে। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রাক্কালে এই ঘোষণা এসেছে। এদিকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে তরুণদের মধ্যে সংক্রমণও বাড়ছে। তবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ফলে শিশুদের মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার প্রমাণ নেই। বেশ কিছু রাজ্যের পেডিয়াট্রিক ডিপার্টমেন্টে শিশুদের ভর্তি অনেক বেড়ে গেছে। এর মধ্যে অনেক শিশুর রোগ যেমন অ্যাজমা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি ছিল। আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস জানায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া মাত্র ১ শতাংশ শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে এবং দশমিক শূন্য এক শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  যুক্তরাষ্ট্রজুড়েই রাজ্যের গভর্নর ও স্থানীয় স্কুল ডিস্ট্রিক্ট শিক্ষার্থীদের মাস্ক ব্যবহার নির্দেশনা নিয়ে বিবাদমান অবস্থানে রয়েছে। সোমবার (৯ আগস্ট) দেওয়া এক বিবৃতিতে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান গভর্নর বলেন, 'শিশুদের যদি ক্লাসরুমে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা জারি রাখা হয়, তবে দ্য স্টেট বোর্ড অব এডুকেশন ডিস্ট্রিক্ট সুপারইন্টেনডেন্ট অথবা স্কুল বোর্ড মেম্বারদের বেতন কেটে রেখে দিতে পারে। শিক্ষক কিংবা অন্যান্য কর্মীদের বেতন কাটা হবে না'। এর আগে জুলাই মাসে ঘোষিত এক আদেশে ডিসান্টিস বলেন, জোরপূর্বক মাস্ক ব্যবহার শিশুদের এবং তাদের পিতামাতার উপর জুলুম। একই দিনে ফ্লোরিডার সরকার নিয়ন্ত্রিত স্কুল ডিস্ট্রিক্ট জানায়, শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও শিক্ষকবৃন্দ বলেন, সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষা পেতে মাস্ক ব্যবহার জরুরি বিশেষ করে ১২ বছরের কম বয়েসীদের জন্য যারা এখনো টিকার জন্য উপযুক্ত হয়নি। দ্য ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানায়, দুই বছরের বেশি বয়েসী শিক্ষার্থী ও কর্মীদের জন্য মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক, এমনকি টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণকারীদের জন্যও এই নিয়ম প্রযোজ্য। একই সাথে ক্লাসরুমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ ফেডারেল হেলথ কর্তৃপক্ষের সূত্র অনুসারে, ফ্লোরিডার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ১৩ হাজার ৬০০ জন বাসিন্দা ভর্তি আছেন৷ করোনার কারণে শিশু ভর্তি আছে অন্তত ১০০ টি। গভর্নর ডিসান্টিস বলেন, 'করোনার সাম্প্রতিক বর্ধিত সংক্রমণ মৌসুম পরিবর্তনের ফলে হচ্ছে। তীব্র গরম এর ফলে অধিকাংশ বাসিন্দাই ঘরে অবস্থান করছে এবং এয়ার কন্ডিশন থেকে ভাইরাস ছড়াচ্ছে'। এলএবাংলাটাইমস/ওএম