যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় আঘাত হেনেছে হারিকেন আইডা। ঘণ্টায় ২৪০ কি/মি বেগে উপকূলে আছড়ে পরে হারিকেনটি।
ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, হারিকেনের প্রভাবে বিপদজনক ঢেউ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার সকালে হারিকেনটি আঘাত হানার আগেই হাজার হাজার মানুষ অন্যত্র সরে যায়। তবে অনেকেই সরে যায়নি।
রাজ্যের গভর্নর জন বেল এর আগে বলেন, ১৮৫০ সালের পর হারিকেন আইডা সবচেয়ে ভয়াবহ আঘাত হানতে পারে।
গালফ অব ম্যাক্সিকোর উষ্ণ পানি থেকে শক্তি সঞ্চয় করে লুইজিয়ানায় আছড়ে পরে আইডা।
হারিকেন আইডা চার মাত্রার শক্তি সঞ্চয় করে নিউ অরল্যান্সের সাউথে পোর্ট ফোরচনের কাছে আঘাত হানে। সাফির-সিম্পসন স্কেল অনুসারে, চার মাত্রার হারিকেনে ভবন, গাছ ও বৈদ্যুতিক লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে।
নিম্ন উপকূলীয় অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সাথে কিছু কিছু ঢেউ ৪ দশমিক ৮ মিটার উঁচু দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
ঝড়ের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখনো পরিষ্কার না। তবে, সমুদ্রপৃষ্ঠের বর্ধিত তাপমাত্রা উপরের বাতাসকে উষ্ণ করে ও ঘূর্ণিঝড়ের জন্য শক্তির যোগান দেয়। যার ফলে ঘূর্ণিঝড় আরো শক্তিশালী হয়। ফলে আরো ঘন বৃষ্টিপাতের সাথে এগুলো আঘাত হানে।
একই দিনে ১৬ বছর আগে হারিকেন ক্যাটরিনা নিউ অরল্যান্সে আঘাত হেনেছিল। তৃতীয় মাত্রার হারিকেনে সেবার শহরের ৮০ শতাংশ ডুবে যায় ও ১ হাজার ৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
দ্য ইউএস ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস) নিউ অরল্যান্সের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে অনুরোধ জানান।
সংস্থাটি টুইট বার্তায় বলে, যারা নিরাপদে সরে জাননি, তারা জানলাবিহীন ছোট রুম বা ইন্টেরিওর রুমে আশ্রয় নিন।
পাওয়ারআউটেজ ডট ইউএস এর সূত্রমতে, রবিবার স্থানীয় সময় ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ২ লাখ ২০ হাজার বাসিন্দার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
করোনার কারণে ইতোমধ্যে লুইজিয়ানার হাসপাতালে রোগী পূর্ণ হয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণ লুইজিয়ানায় হয়েছে।
সাধারণত হারিকেনের সম্ভাবনা থাকলে হাসপাতাল খালি করে দেওয়া হয়। তবে এবার মোট আসন সংখ্যা খুব সীমিত।
এখন পর্যন্ত গালফ অব ম্যাক্সিকোর ৮০টির উপর তেল শোধানাগার খালি করে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে ওই রাজ্যের অর্ধেক তেল-গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে কিউবার বেশকিছু অংশে আঘাত হেনেছে হারিকেন ইডা। এতে গাছপালা উপড়ে যায় ও যানবাহন ভেসে যায়। এছাড়া জ্যামাইকায় ইডার প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত হয়। তবে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম