আমেরিকা

বান্ধবীকে খুন: সাজাপ্রাপ্তির একদিন পরেই করোনায় আক্রান্ত ওই ধনকুবের ব্যবসায়ী

বান্ধবীকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্তির একদিন পরেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ধনকুবের ব্যবসায়ী রবার্ট বার্স্ট (৭৮)। রবার্ট বার্স্টকে নিয়ে এইচবিও একটি ক্রাইম সিরিজ তৈরি করে, যার নাম 'দ্য জিনক্স'। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ডার্স্টকে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ২০০০ সালে বান্ধবী সুসানকে হত্যার দায়ে এই সাজা দেওয়া হয় তাকে। মূলত ডার্স্টের স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর সুসানকে এই ব্যাপারে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল। পুলিশের ধারণা ডার্স্ট আরো দুইটি খুন করেছে। ডার্স্টের আইনজীবি জানান, ডার্স্টের অনেক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাকে ভ্যান্টিলেটরে রাখা হয়েছে। আইনজীবি জানান, ডার্স্টের শারীরিক অবস্থা খুবই গুরুতর। তবে তার কোথায় চিকিৎসা করা হচ্ছে তা এখনো জানা যায়নি। এর আগে অভিশংসকেরা দাবি করেন, ডার্স্ট একজন নার্সিসিস্ট সাইকোপ্যাথ। তিনি বান্ধবী সুসানকে খুনের ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে ফার্স্ট ডিগ্রী খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং প্যারোলে মুক্তির সুযোগ নেই তার। ডার্স্টের স্ত্রী ক্যাথলিন ম্যাককরমেক যিনি একজন মেডিকেলের ছাত্রী ছিলেন, ১৯৮২ সালে নিখোঁজ হয়ে যায় এবং ধারণা করা হয় তার মৃত্যু হয়েছে। ডার্স্টের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর নিখোঁজের ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়নি। অভিশংসকরা দাবি করেন, ডার্স্ট মূলত তিনজনকে খুন করেছেন। এর মধ্যে একজন হচ্ছেন ডার্স্টের বয়স্ক প্রতিবেশি মরিস ব্ল্যাক। ২০০১ সালে ডার্স্ট টেক্সাসে লুকিয়ে ছিল এবং একজন বোবা নারী সেজে ছিল৷ তবে ব্ল্যাক তার পরিচয় পেয়ে যাওয়ায় তাকে খুন করা হয় বলে দাবি করা হয়। তবে ব্ল্যাককে খুনের দায় থেকে খালাস পেয়েছেন ডার্স্ট৷ ডার্স্ট দাবি করেন আত্মরক্ষার্থে সে ব্ল্যাককে ছুরিকাঘাত করেন। ডার্স্ট নিউ ইয়র্কের অত্যন্ত প্রভাবশালী ও সম্পদশালী একজন রিয়েক এস্টেট ব্যবসায়ী। ডার্স্টের ছোট ভাই ডগলাস ডার্স্ট আদালতে বলেছেন, 'আমাকেও খুন করতে পছন্দ করবে ডার্স্ট'। এলএবাংলাটাইমস/ওএম