গত এক বছরে ইউএস-ম্যাক্সিকো সীমান্ত থেকে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ৭০ হাজার অভিবাসী আটক করা হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন জানায়, এর মধ্যে ১০ লাখের বেশি অভিবাসীকে ম্যাক্সিকো কিংবা তাদের ন্যাটিভ দেশে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।
১৬০টি দেশের বেশি নাগরিক গ্রেফতার করে সীমান্তে নিয়োজিত এজেন্ট।
বাইডেনের ইমিগ্রেশন নীতি নিয়ে ইতোমধ্যে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অপিনিয়ন পুলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর জনপ্রিয়তা কমছে এই কারণে।
এই মাসের শুরুতে অ্যাসোসিয়েটস প্রেস-নর্ক সেন্টারে পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চ সার্ভেতে দেখা গেছে, মাত্র ৩৫ শতাংশ আমেরিকান অভিবাসী সংকট মোকাবিলায় বাইডেনের পদক্ষেপে স্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ক্ষমতায় আসার আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি মানবিক সমাধানের প্রতিজ্ঞা করেন অভিবাসী নিয়ে। তবে ডেমোক্র্যাট এই প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার প্রথম নয় মাসে ইউএস-ম্যাক্সিকো বর্ডারে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি হয়৷
২০০০ সালের পর ২০০১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিবাসী আটক করা হয়েছে। ২০০০ সালে ১০ লাখ ৬০ হাজার অভিবাসী আটক করা হয় ইউএস ম্যাক্সিকো সীমান্ত থেকে।
ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন সূত্র জানায়, অনেক অভিবাসী বারবার সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর মহামারির কারণে এই পরিস্থিতিতে আরো সংকট সৃষ্টি হলো।
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ চেষ্টাকারীদের বেশিরভাগ ম্যাক্সিকো, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস এবং এল স্যালভাদর এর নাগরিক।
আটককৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ হচ্ছে শিশু ছাড়া বয়স্ক ব্যক্তি। এদের সংখ্যা ১ দশমিক ১ মিলিয়ন এর বেশি বা ৬৪ শতাংশ।
এছাড়া রেকর্ড সংখ্যক শিশুও আটক করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন পর্যন্ত অভিভাবকহীন ১ লাখ ৪৫ হাজার শিশুকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) পর্যন্ত সরকারি কাস্টডিতে ১১ হাজার শিশু রয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম