আমেরিকা

বান্ধবীর পর এবার স্ত্রী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হলেন সেই ইউএস ধনকুবের!

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী এবং ধনকুবের রবার্ট ডার্স্টের বিরুদ্ধে এবার স্ত্রী হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ১৯৮২ সালে ডার্স্টের সাবেক স্ত্রী নিখোঁজ হয় বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। ক্যাথি ম্যাককোরমেক ডার্স্টের মৃতদেহ কখনো উদ্ধার করা যায়নি। ২০১৭ সালে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই মৃত্যুর পিছনে রবার্ট ডার্স্টের হাত রয়েছে সন্দেহে নতুন করে সেকেন্ড ডিগ্রী মার্ডারের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে রবার্ট ডার্স্টকে (৭৮) ২০০০ সালে বান্ধবী সুসানকে হত্যার দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। প্রাক্তন স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশের সাথে বান্ধবী যেনো কথা না হলে সেজন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে প্রমাণিত হয়। এর আগে ডার্স্টের অপরাধজীবন নিয়ে এইচবিওতে দ্য জিনক্স নামের একটি সিরিজ প্রকাশ হয়। স্ত্রীকে হত্যার নতুন এই অভিযোগটি দায়ের করেছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ এর এক তদন্তকারী দল। ঘটনার সাথে ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে গ্র‍্যান্ড জুরি সাক্ষীদের বৃত্তান্ত শোনা শুরু করেছে। দ্য ওয়েস্টচেস্টার কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস সূত্র জানায়, একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ক্যাথি ডার্স্ট ১৯৮২ সালের জানুয়ারি মাসে স্বামী ডার্স্ট এর সাথে কথা কাটাকাটির পর নিখোঁজ হয়। তখন ক্যাথির বয়স ছিল ২৯। তবে রবার্ট ডার্স্ট দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছেন যে তার স্ত্রী ক্যাথিকে ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টে ফিরিয়ে আনতে তাকে নিয়ে রেল স্টেশন আসেন। প্রাথমিকভাবে ডার্স্ট দাবি করেন তার স্ত্রী ফিরে আসার পর তার সাথে কথা হয়েছে। পরে দাবি করেন তার এই বক্তব্য মিথ্যা। ডার্স্ট ১৯৯০ সালে ক্যাথিকে খুঁজে পাওয়া না গেলে ডিভোর্স দেন। রাষ্ট্রীয় অভিশংসকদের দাবি ডার্স্ট তিনজনকে হত্যা করেছেন। একজন তার বান্ধবী সুসান বর্মন, তার স্ত্রী ক্যাথি ম্যাককরমেক এবং বয়স্ক প্রতিবেশি মরিস ব্ল্যাক। টেক্সাসে লুকিয়ে থাকার সময় ব্ল্যাক ডার্স্টের সত্যিকার পরিচয় জেনে যাওয়ায় তাকে খুন করা হয় বলে জানা যায়। এদিকে, সুসান বর্মনকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারা প্রাপ্তির পরই ডার্স্টের করোনা শনাক্ত হয়৷ বর্তমানে তিনি হাসপাতালে রয়েছেন। এলএবাংলাটাইমস/ওএম