আমেরিকা

ব্ল্যাক ফ্রাইডের কেনাকাটায় প্রভাব ফেলেছে মুদ্রাস্ফীতি

খুচরা বিক্রেতারা তাদের বছরের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন; যুক্তরাষ্ট্রে কেনাকাটার মওসুম শুরু হয়েছে ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলের (মূল্যহ্রাসের) মধ্য দিয়ে। আর, যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তারা কি এ বছর কেনাকাটার জন্য তাদের খরচের হাত প্রসারিত করবেন। ভোক্তাদের আস্থা্র বিষটি অনিশ্চিত। বিশ্বের বৃহত্তম এই অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিপর্যস্ত হওয়ায়, এবারের উৎসবের কেনাকাটা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। কেনাকাটার এই উৎসব শুরু হয় বৃহস্পতিবার থ্যাংকসগিভিং দিবসের ছুটির পরদিন থেকে। এক বছরের আগে, সরবরাহ সংকট এবং কোভিড-১৯ এর কারণে কারখানা বন্ধ থাকায় খুচরা বিক্রেতারা পণ্য-ঘাটতির সমস্যায় পড়েছিল। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে খুচরা বিক্রেতারা এই বছর ছুটির আগেই পণ্য মজুদ করেছে। এই সময়ে এসে তারা অতিরিক্ত সরবরাহের ঝুঁকিতে পড়ছেন, কারণ ভোক্তারা কেনাকাটা কমিয়ে দিচ্ছেন। পেট্রোল, মাংস এবং খাদ্যশস্যের মতো প্রধান প্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলোর জন্য উচ্চমাত্রার ব্যয় অর্থনীতির একটি বড় সমস্যা হলেও, তা সকলের জন্য সমান বোঝা নয়। মুডিস এর ঊর্ধ্বতন বিশ্লেষক ক্লেয়ার লি বলেন, “উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ অবশ্যই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কেননা, মানুষকে আবশ্যক পণ্যের জন্য ব্যয় করতেই হয়।” ডেলয়েট এবং ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশনের এক পূর্বাভাষে একক অংকের মূল্যস্ফীতির হারের কথা বলেছে, তবে এটি সম্ভবত মুদ্রাস্ফীতির হার অতিক্রম করবে না। ভোক্তা মূল্য সূচক বার্ষিক প্রায় ৮ শতাংশ হারে বেড়েছে। এর মানে হলো, ছুটির বিক্রি সমহারে বৃদ্ধি পেলে,পরিমাণে কম বিক্রিকে সমতায় রাখবে। ব্রিটেন এবং ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় দেশগুলোও কয়েক বছর ধরে ব্ল্যাক ফ্রাইডে উদযাপন করছে। এই দেশগুলোও আকাশচুম্বী মুদ্রাস্ফীতির মুখোমুখি হয়েছে। তাই সেখানকার ব্যবসায়ীরাও একই ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের মুখোমুখি হয়েছেন। লন্ডনে হারগ্রিভস ল্যান্সডাউনের জ্যেষ্ঠ বিনিয়োগ ও বাজার বিশ্লেষক সুজানা স্ট্রিটার বলেছেন, “খুচরা বিক্রেতারা একটা খরচ-উৎসবের জন্য মরিয়া হয়ে আছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো, এটি ব্লিক ফ্রাইডের চেয়ে বড় কিছু হয়ে উঠতে পারে।”