আমেরিকা

এবার ইরাকে পিঠটান দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, সরিয়ে নেবে সেনা

ইরাক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের অবসানের বিষয়ে আলোচনা শুরু করার বিষয়ে দুই দেশের সরকার একমত হয়েছে। প্রথম দিকে বিরোধিতা করলেও ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে রাজি হয়েছে ওয়াশিংটন। এক বিবৃতিতে ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের উপদেষ্টারা আর কত দিন থাকবে এ নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট ও পরিষ্কার সময়সূচি তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে ইরাকের মাটিতে এসব উপদেষ্টার উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে কমানো হবে। একপর্যায়ে এই জোটের অবসান করা হবে। পৃথক আরেক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের আগস্টে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কমিশনের অংশ হিসেবে এ আলোচনা হবে। ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্থায়ী দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা করা হবে। ২০০৩ সাল থেকে ইরাকে অবস্থান করছে মার্কিন বাহিনী। মাঝে ২০১১ সালে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু বছর তিনেক পরে আইএস ইরাকের বেশকিছু অঞ্চল দখলে নিয়ে নিলে মার্কিন সেনারা আবারও ইরাকে যায়। এরপর ২০১৭ সালে আইএসকে পরাজিত করলেও ইরাকে থেকে যায় মার্কিন সেনারা। বর্তমানে ইরাকে ২ হাজার ৫০০ সেনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় সেনাবাহিনীকে পরামর্শ ও সহায়তা করাই এই মিশনের লক্ষ্য। তবে কয়েক সপ্তাহ আগে বাগদাদে মার্কিন হামলায় এক মিলিশিয়া নেতা নিহত হলে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের সেনাদের দেশ থেকে বিতাড়নের তোড়জোড় শুরু করে ইরাক সরকার। গত ৫ জানুয়ারি ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইরাকে আন্তর্জাতিক জোটের বাহিনীর উপস্থিতি স্থায়ীভাবে শেষ করবে সরকার। এ উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা গ্রহণে দ্বিপক্ষীয় কমিটি গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। তবে ইরাকের এমন ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছিল, ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। এলএবাংলাটাইমস/এসএ/ওএম