আমেরিকা

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই মামলার কার্যক্রম স্থগিত

যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল আগামী ৪ মার্চ। কিন্তু তার আগেই সেই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালতের বিচারক। খবর এপি।   সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই মামলার বিপরীতে করা একটি আপিল এখনো অমীমাংসিত থাকায় শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) মামলার কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন ওয়াশিংটন ফেডারেল আদালতের বিচারক তানিয়া চুটকান। তবে এই মামলার কার্যক্রম আবার কবে শুরু হবে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশ দেননি বিচারক। মার্কিন বিচার বিভাগের আইনজীবী জ্যাক স্মিথ এই মামলা দায়ের করেছিলেন। গত বছরে আগস্টের শুরুতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৪৫ পৃষ্ঠার ওই অভিযোগনামায় মোট ৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—মিথ্যা তথ্য দিয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জয়ী ঘোষণা করা থেকে কংগ্রেসকে বাধা দেওয়া এবং ভোটার দেওয়া রায় থেকে তাদের বঞ্চিত করা। এর আগে, ৪ মার্চকে মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করতে গিয়ে বিচারক তানিয়া চুটকান বলেন, ‘এ বিষয়ে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার বিষয়ে জনগণের অধিকার রয়েছে।’ উল্লেখ্য, এই মামলা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দায়ের করা চারটি মামলার একটি। মামলার আইনজীবীরা বলেছেন, সে সময় নির্বাচনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইচ্ছা করেই নিজের মিথ্যা দাবিকে সত্য বলে প্রচার করতে তৎকালীন ভাইস পেন্সসহ শীর্ষ ফেডারেল কর্মকর্তাদের চাপ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি ক্যাপিটাল হিলে সহিংস হামলা চালাতে সমর্থকদের উসকে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন এবং এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন। মঙ্গলবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরও, ট্রাম্প ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন। তাই ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দুই মাসের বেশি সময় পর তিনি এই বলে মিথ্যা ছড়িয়েছিলেন যে, নির্বাচনের ফলাফলে জালিয়াতি হয়েছে এবং প্রকৃতপক্ষে তিনিই জিতেছেন।’

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস