আমেরিকা

ট্রাম্প-বাইডেন দ্বৈরথে মেনথল সিগারেট কেন এত গুরুত্বপূর্ণ

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সবকিছু ঠিক থাকলে এতে মুখোমুখি হবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবাক করা বিষয়, ট্রাম্প-বাইডেনের এ দ্বৈরথে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হয়ে উঠেছে সিগারেট। আরও স্পষ্ট করে বললে, মেনথলযুক্ত সিগারেট। আফ্রিকান-আমেরিকানদের কাছে মেনথলযুক্ত সিগারেট বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু জো বাইডেন প্রশাসন এ সিগারেট নিষিদ্ধ করতে চাইছে। এ–সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব নিয়ে আলাপ-আলোচনাও চলছে। আর এ আলোচনা নির্বাচনের বছরে এসে আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে। বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থক হিসেবে পরিচিত আফ্রিকান আমেরিকানরা। কিন্তু বাইডেন প্রশাসনের এমন উদ্যোগে তাঁদের অনেকেই বেশ বিরক্ত। তাই মনে করা হচ্ছে, এমন উদ্যোগ বাইডেনের ভোটের বাক্সে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে তামাক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রভাব বিস্তারকারী গোষ্ঠীর মনোভাব ভয় জাগিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই নিষেধাজ্ঞা দেশটিতে পুলিশিং ও বর্ণবাদের বিস্তার ঘটাতে পারে। সেই সঙ্গে নির্বাচনের বছরে এসে রিপাবলিকান পার্টি কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের মন জয়ে এ বিষয়টি ব্যবহার করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) ২০২২ সালে একটি খসড়া পরিকল্পনার কথা জানায়। এতে বিশেষ গন্ধযুক্ত তামাক উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধের কথা জানানো হয়। এফডিএর মতে, এর ফলে ভবিষ্যৎ ধূমপায়ীরা নিরুৎসাহিত হবেন। আর যাঁরা ধূমপান ছাড়তে চাচ্ছেন, তাঁদেরও উপকার হবে। আফ্রিকান-আমেরিকান ধূমপায়ীদের ১০ জনের ৮ জনই মেনথল সিগারেট কিনেন। এসব সিগারেট দিয়ে ধূমপান করেন। অন্যদিকে প্রতি ১০ জন শ্বেতাঙ্গ ধূমপায়ীর মাত্র ৩ জন মেনথলযুক্ত সিগারেট দিয়ে ধূমপান করেন। বাইডেন প্রশাসনের এমন উদ্যোগের ঘোর বিরোধী নাগরিক অধিকারবিষয়ক কর্মী আল শার্পটন। ২০১৯ সালে এক আয়োজনে তিনি বলেছিলেন, ‘ধূমপান আপনার জন্য ভালো কিছু নয়। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু যদি স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা বলা হয়, তাহলে আপনারা কেন সব ধরনের সিগারেট নিষিদ্ধ করছেন না?’ এলএবাংলাটাইমস/এজেড