আমেরিকা

ভবিষ্যতে আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করলে কারাদণ্ড হতে পারে ট্রাম্পের বিচারক

ফৌজদারি মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দশমবারের মতো এক হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করেছেন নিউইয়র্কের আদালত। মামলা নিয়ে বাইরে কথা না বলতে আদালতের দেওয়া নির্দেশ লঙ্ঘন করায় গতকাল সোমবার তাঁকে জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে আদালত তাঁকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আবারও তিনি আদালতের আদেশ অমান্য করলে তাঁর কারাদণ্ড হতে পারে। আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাট দলীয় জো বাইডেনের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান দল থেকে তাঁর মনোনয়ন পাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। দলীয় প্রাথমিক বাছাইয়ের মাঝপথে সব প্রতিদ্বন্দ্বী সরে গিয়ে তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। বিচারপতি হুয়ান মার্চান গতকাল বলেন, আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করায় এর আগে ট্রাম্পকে নয়বার ১ হাজার ডলার করে জরিমানা করা হয়েছিল। আদালতের শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ নিয়ে আদালত তাঁকে প্রকাশ্যে কথা না বলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ধনকুবের এই ব্যবসায়ী আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করেছেন। মামলার শুনানির ১২তম দিনে মার্চান বলেন, ‘আমি কারাদণ্ড দিতে চাই না এবং এমন আদেশ দেওয়া এড়াতে আমি সম্ভাব্য সবকিছু করেছি। তবে দরকার হলে সামনে আমি তাই করব।’ ঐতিহাসিক এই মামলায় কারাদণ্ড হবে এক অভূতপূর্ব নজির। এমন কিছু হলে ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলা নতুন মাত্রা পাবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। গতকাল সোমবার মার্চানের রুলিংয়ের পর জুরিবোর্ড ট্রাম্পের কর্মীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ট্রাম্প এই ফৌজদারি মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এবং কোনো ধরনের অন্যায় করেননি বলে দাবি করেন। ট্রাম্পকে জরিমানা করার পর বিচারক মার্চান বলেন, তাঁর কথার কারণে নিরাপত্তা যদি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, বিচারকাজ সত্যিকার অর্থে বাধাগ্রস্ত হয় এবং আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে কোনো জটিলতা তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে শেষ আশ্রয় হিসেবে তিনি ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন। বিচারক বলেন, অব্যাহতভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রাম্প আদালতের আদেশের লঙ্ঘন করছেন। এটা আইনের শাসনের প্রতি সরাসরি আক্রমণ। গত ২২ এপ্রিল একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের বক্তব্যের জন্য মার্চান তাঁকে দশমবারের মতো ১ হাজার ডলার জরিমানা করেন। ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলার জুরিদের তড়িগড়ি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের ৯৫ ভাগ ডেমোক্র্যাট। বলা যায়, এই জুরিবোর্ডের অধিকাংশই ডেমোক্র্যাট।

এলএবাংলাটাইমস/ ওএম