মার্কিন প্রেসিডেন্টপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস তাদের প্রথম ও সম্ভাব্য একমাত্র বিতর্কে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। এই বিতর্কটি ২০২৪ সালের নির্বাচনি লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
৫ নভেম্বরের নির্বাচনের ঠিক আট সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বিতর্কের আগে উভয় প্রার্থীই জরিপে প্রায় কাছাকাছি অবস্থান করছেন। নির্বাচনের ফলাফল এখনও যে কোনো দিকেই যেতে পারে। বিতর্কের কিছুদিন পরই কয়েকটি রাজ্যে আগাম ভোট শুরু হবে।
এই বিতর্কটি কমলা হ্যারিসের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জরিপে দেখা গেছে যে, অনেক ভোটার এখনও তার সম্পর্কে যথেষ্ট জানেন না, যেখানে ট্রাম্পের পরিচিতি অনেক বেশি। বিতর্কে হ্যারিস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারবেন। ট্রাম্পের ফৌজদারি অপরাধ, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটলে হামলায় সমর্থকদের সমর্থন এবং বারবার মিথ্যাচার নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রাম্প ও তার মিত্ররা হ্যারিসকে লক্ষ্য করে বর্ণবাদী ও লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছেন, যা বিতর্কের মঞ্চে প্রতিধ্বনিত হতে পারে। এমন একটি আচরণ অনিশ্চিত ভোটারদের বিরক্ত করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
৯০ মিনিটের বিতর্কটি ফিলাডেলফিয়ার ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। বিতর্কের সময় কোনো সরাসরি দর্শক থাকবেন না এবং এক প্রার্থীর বক্তব্যের সময় অন্য প্রার্থীর মাইক্রোফোন বন্ধ থাকবে।
হ্যারিস গত বৃহস্পতিবার থেকে পিটসবার্গে বিতর্কের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অন্যদিকে, ট্রাম্প ব্যক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে নিজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ট্রাম্পের শিবির থেকে জানানো হয়েছে, তিনি হ্যারিসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামবেন ঠিক যেভাবে তিনি অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিতর্ক করেন।
দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যক্তিগত আক্রমণের পাশাপাশি গর্ভপাত, অভিবাসন ও অর্থনীতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতেও তর্ক-বিতর্ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/এজেড