পেনসিলভানিয়ার ইয়র্ক কাউন্টির একটি হাসপাতালে জিম্মি পরিস্থিতিতে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
শনিবার সকালে স্থানীয় সময় সকাল ১০:৩০ টায় সন্দেহভাজন ডায়োজেনেস আর্চেঞ্জেল অর্টিজ একটি আধা-স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং জিপ টাই নিয়ে ওয়েস্ট ম্যানচেস্টার টাউনশিপের ইউপিএমসি মেমোরিয়াল হাসপাতালে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)-তে গিয়ে হাসপাতালের বেশ কয়েকজন কর্মীকে জিম্মি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইয়র্ক কাউন্টির জেলা অ্যাটর্নি টিম বার্কার বলেন, "এটি আমাদের কমিউনিটির জন্য একটি বিশাল ক্ষতি। অফিসার দুয়ার্তে নিজের জীবন উৎসর্গ করে অন্যদের রক্ষা করেছেন।"
অর্টিজ গুলি চালিয়ে এক চিকিৎসক, এক নার্স এবং এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে আহত করেন, তবে তারা বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হন, যার মধ্যে ওয়েস্ট ইয়র্ক বরো পুলিশ অফিসার অ্যান্ড্রু দুয়ার্তে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। অপর দুই পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাদের অবস্থা স্থিতিশীল।
বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, যার মধ্যে রয়েছে ওয়েস্ট ইয়র্ক বরো পুলিশ, পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশ এবং ইয়র্ক কাউন্টি কুইক রেসপন্স টিম, দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কর্মকর্তারা অর্টিজের সঙ্গে আলোচনা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি এক হাসপাতাল কর্মীকে বন্দুকের মুখে জিম্মি অবস্থায় আইসিইউ থেকে বেরিয়ে আসেন। তখন তার হাতে থাকা জিপ টাই দিয়ে কর্মীর হাত বাঁধা ছিল।
জেলা অ্যাটর্নি বার্কার বলেন, "পুলিশদের কাছে তখন আর কোনো বিকল্প ছিল না। তারা গুলি চালিয়ে অর্টিজকে হত্যা করে, যার ফলে আরও বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।"
তিনি আরও বলেন, "সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে পুলিশরা আইনসম্মতভাবে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছে। বরং, তারা যদি এটি না করত, তাহলে আরও অনেক প্রাণহানি ঘটতে পারত।"
ইউপিএমসি হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কোনো রোগী আহত হননি।
বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে থেকে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। হামলার মোটিভ সম্পর্কে এখনো কিছু জানানো হয়নি। তবে, জেলা অ্যাটর্নি বার্কার জানিয়েছেন, হামলাকারীর আগেও আইসিইউ-তে যোগাযোগ ছিল, তবে গোপনীয়তা রক্ষার কারণে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, "ঘটনাটি পরিকল্পিত ছিল এবং স্পষ্টতই আইসিইউ-কে লক্ষ্য করেই ঘটানো হয়েছে।"
তদন্ত অব্যাহত রয়েছে, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলার পেছনের কারণ খুঁজে বের করতে কাজ করে যাচ্ছে।
এলএবাংলাটাইম/ওএম