মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী ভাষা হিসেবে ইংরেজিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে ফেডারেল সংস্থা ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারবে তারা ইংরেজি ছাড়াও অন্য ভাষায় সেবা দেবে কি না। এটি ২০০০ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্বাক্ষরিত নীতিকে বাতিল করেছে, যা ইংরেজি না-বলা নাগরিকদের ভাষাগত সহায়তা প্রদান বাধ্যতামূলক করেছিল।
নতুন আদেশে বলা হয়েছে, "ইংরেজিকে সরকারী ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা শুধুমাত্র যোগাযোগকে সহজ করবে না, বরং জাতীয় ঐক্য ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে।" আরও উল্লেখ করা হয়েছে, "নতুন আমেরিকানদের স্বাগত জানাতে, আমাদের জাতীয় ভাষা শেখা এবং গ্রহণের নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে একটি যৌথ বাড়ি করবে এবং নতুন নাগরিকদের আমেরিকান স্বপ্ন অর্জনে সক্ষম করবে।"
যুক্তরাষ্ট্রের মোট ৩৪০ মিলিয়ন বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ৬৮ মিলিয়ন মানুষ ইংরেজি ব্যতীত অন্যান্য ভাষায় কথা বলে থাকেন। এর মধ্যে স্প্যানিশ, বিভিন্ন চীনা ভাষা এবং আরবি উল্লেখযোগ্য। দেশটির ৩০টিরও বেশি রাজ্য ইতিমধ্যে ইংরেজিকে তাদের সরকারী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তবে আলাস্কা ও হাওয়াইয়ের মতো কিছু রাজ্যে স্থানীয় ভাষাগুলোকেও সরকারী স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপকে সমর্থকরা জাতীয় ঐক্য ও প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তবে সমালোচকদের মতে, এটি ইংরেজি না-বলা জনগোষ্ঠীর জন্য বৈষম্যের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং বাস্তবে এমন একটি নীতির প্রয়োজন নেই, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে ইংরেজি স্বাভাবিকভাবেই সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা।
বিশ্বের প্রায় ১৮০টি দেশ সরকারী ভাষা স্বীকৃতি দিয়েছে, এবং বেশিরভাগ দেশ একাধিক সরকারী ভাষার নীতি অনুসরণ করে। তবে যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশে সরকারী ভাষার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেই।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ তার দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুর দিকেই কার্যকর করা হয়েছে এবং এটি তার প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির ধারাবাহিকতার অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম