আমেরিকা

টেক্সাসের অস্টিনে বাড়ি বিস্ফোরণে আহত অন্তত ৬ জন

টেক্সাসের অস্টিন শহরে রবিবার সকালে একটি বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে একটি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং পাশের আরেকটি বাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে অস্টিন ফায়ার ডিপার্টমেন্ট। অস্টিন-ট্র্যাভিস কাউন্টি ইএমএস-এর মুখপাত্র শ্যানন কোস্টেরার জানান, আহতদের মধ্যে দুইজন ওই বিস্ফোরিত বাড়ির বাসিন্দা। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং অপরজন গুরুতর আহত। এছাড়া পাশের বাড়ির এক বাসিন্দাও গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানান কোস্টেরার। ঘটনাস্থলে কাজ করতে গিয়ে দুইজন ফায়ারফাইটার আহত হন এবং আরেকজন আহত হলেও তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। বিস্ফোরণটি স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৩০ মিনিটের আগেই ঘটে। এতে আশেপাশের অন্তত ২৪টি বাড়ি কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থলে একটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়, যা পরে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অস্টিন ফায়ার ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ থেয়ার স্মিথ জানান, বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা হয়েছে, তবে যেসব বাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোর বিদ্যুৎ এখনও সংযোগহীন। তিনি বলেন, “আমরা এখানে আরও কয়েক ঘণ্টা থাকবো। মূল রাস্তা এক ঘণ্টার মধ্যে খুলে দেওয়া সম্ভব হলেও এই রাস্তা পুরো দিন বন্ধ থাকবে।” সব বাসিন্দার অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে এবং বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করছে ট্র্যাভিস কাউন্টি ফায়ার মার্শালের দপ্তর। প্রাথমিকভাবে কোনো অপরাধমূলক তৎপরতার ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে তা অস্টিন শহরের আশেপাশের শহরগুলোতেও শোনা গেছে। অস্টিন শহরের উত্তরে প্রায় ২০ মাইল দূরের সিডার পার্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় শব্দ ও কম্পন অনুভূত হয়েছে। নিকটবর্তী জর্জটাউন শহরেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানান অস্টিন ফায়ার ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ওয়েন প্যারিশ। বিস্ফোরিত বাড়ির কাছাকাছি বসবাসকারী ক্যারল হাসেল স্থানীয় সংবাদমাধ্যম KEYE-কে বলেন, “আমি ভেবেছিলাম বুঝি কোনো ডাল পড়ে গেছে আমার ছাদের ওপর। পেছনের দরজা খোলা ছিল, বাইরে গিয়ে দেখি জানালাগুলো উড়ে গেছে, সামনের দরজা ক্ষতিগ্রস্ত, আর ছাদের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে।” তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণে তার গ্যারেজের দরজা এবং লকের ডেডবল্টগুলোও উড়ে গেছে। “আমি শুধু এই জন্যই কৃতজ্ঞ যে আমি এখনো সুস্থ আছি,” বলেন হাসেল। আরেক প্রতিবেশী নিকি ফ্লেচার বিস্ফোরণকে “ভীতিকর” বলে মন্তব্য করেন। “এটা এমন মনে হচ্ছিল যেন একটা গাছ আমার বাড়ির ওপর পড়ে গেছে। পুরো বাড়ি কেঁপে উঠলো। আমাদের বিড়াল ভয় পেয়ে গেল,” বলেন তিনি। এলএবাংলাটাইমস/ওএম