যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার একটি নির্বাহী আদেশে অন্তত ২০,০০০ নতুন অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন, যাদের কাজ হবে দেশের অভ্যন্তরে বসবাসকারী অনিবন্ধিত অভিবাসীদের সনাক্ত ও বহিষ্কারে সহায়তা করা।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, ট্রাম্প প্রশাসন একটি নতুন কর্মসূচি চালু করেছে যার নাম "প্রজেক্ট হোমকামিং"। এই কর্মসূচির মাধ্যমে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। যারা স্বেচ্ছায় চলে যেতে চান, তাদের জন্য সরকার বিমানের টিকিটসহ ১,০০০ মার্কিন ডলারের ‘বোনাস’ প্রদান করবে।
ট্রাম্প এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমি অবৈধদের জন্য নিজ দেশে ফিরে যাওয়াকে যতটা সম্ভব সহজ করে দিচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে থেকে যাবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এর মধ্যে রয়েছে বড় অঙ্কের অর্থদণ্ড, সম্পত্তি জব্দ, বেতন বাজেয়াপ্ত এবং যেকোনো সময়, যেকোনো উপায়ে হঠাৎ করে বহিষ্কার।
বর্তমানে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) সংস্থার অধীনে প্রায় ২১,০০০ জন কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ৬,১০০ জন ডিপোর্টেশন অফিসার এবং ৭৫০ জনের বেশি এনফোর্সমেন্ট রিমুভাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রয়েছেন।
নতুন আদেশে ট্রাম্প বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের স্থানীয় পুলিশ, সাবেক ফেডারেল অফিসার এবং জাতীয় গার্ড সদস্যদের ডিপুটাইজ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে বহিষ্কারের কাজ আরও দ্রুত সম্পন্ন হয়।
এছাড়াও, যারা নিজ ইচ্ছায় দেশ ত্যাগ করতে চান তাদের জন্য সরকার CBP Home নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ দিচ্ছে। সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোয়েম ঘোষণা করেছেন, এই স্বেচ্ছা-প্রস্থান কর্মসূচির আওতায় ভ্রমণ খরচ এবং নগদ প্রণোদনা প্রদান করা হবে।
তবে ট্রাম্পের কিছু কঠোর পদক্ষেপ আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ভেনেজুয়েলান অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ১৮ শতকের ‘Alien Enemies Act’ আইনের ব্যবহার করে নির্বাসনের উদ্যোগকে সম্প্রতি দুইজন ফেডারেল বিচারক অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
এলএবাংলাটাইমস/ওএম