আলাস্কার সিওয়ার্ড এলাকায় এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ৬১ বছর বয়সী কেল মরিস তিন ঘণ্টা ধরে ৭০০ পাউন্ড (প্রায় ৩১৮ কেজি) ওজনের একটি পাথরের নিচে আটকে ছিলেন। গত শনিবার, ২৪ মে, গডউইন হিমবাহের কাছে একটি দুর্গম ট্রেইলে স্ত্রী জো রুপের সঙ্গে হাইকিং করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পাহাড়ি ঢাল থেকে পাথর গড়িয়ে পড়ে মরিসকে মুখ নিচু করে হিমশীতল ঝরনার পানিতে চেপে ধরে।
মরিসের স্ত্রী, একজন অবসরপ্রাপ্ত আলাস্কা স্টেট ট্রুপার, সাথে সাথেই তার স্বামীর মাথা পানির উপরে ধরে রাখেন যাতে তিনি ডুবে না যান। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে পাথর সরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে, তিনি ৩০০ গজ দূরে গিয়ে মোবাইল ফোনের সিগন্যাল পেয়ে ৯১১-এ কল করেন এবং সঠিক জিপিএস কোরডিনেট সরবরাহ করেন।
দুর্ঘটনাস্থল দুর্গম হওয়ায়, সিওয়ার্ড ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কর্মীরা হেলিকপ্টারে করে সেখানে পৌঁছান। হেলিকপ্টারটি নিরাপদে অবতরণ করতে না পারায়, ফায়ারফাইটাররা হেলিকপ্টার থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিচে নামেন। তারা এয়ারব্যাগ, দড়ি এবং সম্মিলিত শক্তি ব্যবহার করে পাথরটি সরিয়ে মরিসকে মুক্ত করেন। ততক্ষণে মরিস হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েছিলেন।
উদ্ধারের পর মরিসকে সিওয়ার্ড প্রভিডেন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে তিনি দুই রাত পর্যবেক্ষণে ছিলেন। অবাক করার মতো বিষয় হলো, তিনি গুরুতর কোনো আঘাত পাননি। মরিস বলেন, "আমি সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ, এবং আরও ভাগ্যবান যে আমার এমন একজন অসাধারণ স্ত্রী আছে।" এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, দ্রুত সিদ্ধান্ত, সঠিক প্রস্তুতি এবং ভাগ্যের সমন্বয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকেও ফিরে আসা সম্ভব।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
দুর্ঘটনাস্থল দুর্গম হওয়ায়, সিওয়ার্ড ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কর্মীরা হেলিকপ্টারে করে সেখানে পৌঁছান। হেলিকপ্টারটি নিরাপদে অবতরণ করতে না পারায়, ফায়ারফাইটাররা হেলিকপ্টার থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিচে নামেন। তারা এয়ারব্যাগ, দড়ি এবং সম্মিলিত শক্তি ব্যবহার করে পাথরটি সরিয়ে মরিসকে মুক্ত করেন। ততক্ষণে মরিস হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েছিলেন।
উদ্ধারের পর মরিসকে সিওয়ার্ড প্রভিডেন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে তিনি দুই রাত পর্যবেক্ষণে ছিলেন। অবাক করার মতো বিষয় হলো, তিনি গুরুতর কোনো আঘাত পাননি। মরিস বলেন, "আমি সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ, এবং আরও ভাগ্যবান যে আমার এমন একজন অসাধারণ স্ত্রী আছে।" এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, দ্রুত সিদ্ধান্ত, সঠিক প্রস্তুতি এবং ভাগ্যের সমন্বয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকেও ফিরে আসা সম্ভব।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম