যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। কয়েকদিন ধরে তার পায়ে ফোলা ও হাতে কিছু দাগ দেখা যাওয়ায় জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়। তবে আজ হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি নিশ্চিত করেছেন, ট্রাম্পের এই শারীরিক অবস্থা একটি সাধারণ রোগ – যার নাম ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি (Chronic Venous Insufficiency বা CVI)। এটি সাধারণত ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের মধ্যে দেখা যায় এবং খুব বেশি গুরুতর নয়।
CVI মূলত তখন হয় যখন পায়ের শিরাগুলোর স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ কমে যায়। এতে রক্ত ঠিকমতো ওপরের দিকে, অর্থাৎ হৃদয়ের দিকে ফিরতে পারে না। ফলে পায়ে ফোলা, ভারী অনুভব, ব্যথা বা ত্বকের রঙে পরিবর্তন দেখা দেয়। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প পায়ে হালকা ফোলাভাব অনুভব করায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখানে তার একাধিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় – যার মধ্যে ছিল ভাস্কুলার আল্ট্রাসাউন্ড, ইকোকার্ডিওগ্রাম এবং রক্ত পরীক্ষা। পরীক্ষায় দেখা গেছে, তার হার্ট, কিডনি এবং ধমনির কোনো বড় সমস্যা নেই। এছাড়া ডিপ ভেইন থ্রমবোসিস বা রক্ত জমাট বেঁধে বিপজ্জনক কিছু হওয়ারও সম্ভাবনা নেই।
অনেকেই ট্রাম্পের হাতে দেখা দাগ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্প নিয়মিত অ্যাসপিরিন খাচ্ছেন, যা শরীরে হালকা রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। আর প্রচুর হাত মেলানোর কারণে ওইসব দাগ হয়েছে বলে জানান প্রেস সেক্রেটারি।
এই রোগ পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য না হলেও তা সাধারণ নিয়ম মেনে চললে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যেমন: নিয়মিত হাঁটা, পা উঁচু করে বসা, ওজন নিয়ন্ত্রণ, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে বা বসে না থাকা এবং প্রয়োজন হলে কমপ্রেশন স্টকিংস ব্যবহার করা। কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ বা হালকা চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। তবে বর্তমান অবস্থায় ট্রাম্পের কোনো গুরুতর শারীরিক ঝুঁকি নেই এবং তিনি স্বাভাবিকভাবেই কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।
সবমিলিয়ে, আজকের মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী ট্রাম্পের এই শিরার সমস্যা খুব সাধারণ একটি বিষয়, যা অনেক বয়স্ক মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন, তার হার্ট বা জীবনঘাতী কোনো অসুখ নেই। তাই উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি – তবে নিয়ম মেনে চলা ও নিয়মিত চিকিৎসা করানো গুরুত্বপূর্ণ।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম