এপস্টেইনের মামলার নথিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম আসার পর হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে জনসম্মুখে প্রকাশিত একটি নথিতে দাবি করা হয়, জেফ্রি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে ট্রাম্পের নাম মামলার প্রক্রিয়ায় উঠে এসেছে। তবে এই অভিযোগে সরাসরি কোন অপরাধ প্রমাণিত হয়নি, এবং অভিযোগকারীর বয়ানকে প্রমাণ-নির্ভর নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র এই প্রতিবেদনকে "চরম বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত" বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ জনমত প্রভাবিত করার কৌশল মাত্র।” তিনি আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অতীতে বহুবার বলেছেন যে, তিনি এপস্টেইনের সঙ্গে খুব একটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন না এবং যখনই এপস্টেইনের কার্যকলাপ সম্পর্কে জানতে পারেন, তখন থেকেই সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
নথিতে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটি মূলত এক নারীর দেওয়া বয়ান, যিনি বলেন যে, এপস্টেইনের বাড়িতে একাধিক পরিচিত ব্যক্তিকে তিনি দেখেছেন এবং তাদের মধ্যে ট্রাম্পও ছিলেন বলে দাবি করেন। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো আলাদা সাক্ষ্য বা নিরপেক্ষ প্রমাণ হাজির করা হয়নি। এছাড়া আদালত এই নথির বিষয়বস্তু যাচাই না করেই প্রকাশ করেছে, যা নিয়ে অনেকের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে এপস্টেইন মামলার জটিলতা আরও বেড়েছে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। রিপাবলিকান সমর্থকরা এটিকে ট্রাম্পকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন, অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক সমর্থকরা স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করছেন। হোয়াইট হাউজের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই মামলা নিয়ে কোনো ধরণের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে তার উপযুক্ত আইনি প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
এলএবাংলাটাইমস/ওএম