আমেরিকা

মার্কিন ভিসায় ১৫,০০০ ডলার জামানত চেয়ে নতুন পরিকল্পনা: পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের জন্য পরীক্ষামূলক কর্মসূচি চালু

যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে ভিসা নেওয়ার সময় ১৫,০০০ ডলার (প্রায় ১১,৩০০ পাউন্ড) পর্যন্ত জামানত দাবি করতে পারে — এমন একটি ১২ মাসব্যাপী পরীক্ষামূলক কর্মসূচি চালু করেছে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপটি মূলত যেসব দেশের নাগরিকেরা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ভিসার সময়সীমা পেরিয়ে থাকেন বা যেসব দেশের তথ্য যাচাই এবং স্ক্রিনিং ব্যবস্থা দুর্বল — তাদের নিয়ন্ত্রণ করতেই নেওয়া হচ্ছে। তবে কোন কোন দেশ এই কর্মসূচির আওতায় পড়বে, সেটি বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। এই পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসন রোধের লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই ট্রাম্প এই বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন। পররাষ্ট্র দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় “যেসব দেশের নাগরিকদের ভিসা অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের হার বেশি, অথবা যেসব দেশের নাগরিকদের তথ্য যাচাই ও স্ক্রিনিং দুর্বল, কিংবা যেসব দেশ নাগরিকত্বের বিনিময়ে বিনিয়োগের সুযোগ দেয় (যার জন্য আবাসিক শর্ত নেই), সেইসব দেশের নাগরিকরা এই পরীক্ষামূলক কর্মসূচির আওতায় পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে মার্কিন কনসুলার অফিসাররা সর্বোচ্চ ১৫,০০০ ডলারের জামানত দাবি করতে পারবেন, যা ভিসা প্রদানের পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।” ট্রাম্প প্রশাসন জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত কিছু দেশের মানবিক কর্মসূচি বাতিল করেছে। একইসঙ্গে ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা এবং আরও সাতটি দেশের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া, শত শত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে এবং অনেককে কলেজ ক্যাম্পাস থেকেই বিনা নোটিশে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অভিবাসন আইনজীবীরা। এদের মধ্যে অনেকেই প্রো-প্যালেস্টাইন কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে কিছু ভিসা বাতিলের ঘটনা ঘটেছে খুবই সাধারণ অপরাধ, যেমন ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন বা হালকা অপরাধমূলক রেকর্ড থাকার কারণেও — যা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম