আমেরিকা

টেনেসিতে প্রেমিকার পরিবারের ৪ জনকে হত্যা করে শিশুকে ফেলে যাওয়া যুবক গ্রেফতার

টেনেসির গ্রামীণ এলাকায় প্রেমিকার পরিবারের চারজনকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম অস্টিন রবার্ট ড্রামন্ড, বয়স ২৮ বছর। তিনি তার প্রেমিকার মা, দুই বোন এবং এক ভাইকে গুলি করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় এক সপ্তাহ ধরে গোটা রাজ্যজুড়ে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ড্রামন্ড হত্যাকাণ্ডের পর একটি শিশুকে গাড়ির আসনে বসানো অবস্থায় একটি অপরিচিত বাড়ির সামনে রেখে পালিয়ে যান। গত ২৯ জুলাই টিগরেট শহরে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর ৬৪ কিলোমিটার দূরের টিপটনভিলে নিহত চারজনের মরদেহ পাওয়া যায়। নিহতরা হলেন শিশুটির বাবা জেমস এম. উইলসন (২১), মা অ্যাড্রিয়ানা উইলিয়ামস (২০), দাদি কোর্টনি রোজ (৩৮) এবং মামা ব্রেডন উইলিয়ামস (১৫)। শিশুটি বর্তমানে নিরাপদে আছে এবং সরকারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং ড্রামন্ড এই পরিবারটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কেই ছিলেন। জ্যাকসন শহরে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন তাকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ সকালে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করে। তার গ্রেফতারের আগে পুলিশ একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায় ড্রামন্ড একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ক্যামোফ্লাজ পোশাক পরে একটি বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করছেন। অস্টিন ড্রামন্ড এর আগেও অপরাধে জড়িত ছিলেন। ২০১৩ সালে একটি দোকানে অস্ত্র দেখিয়ে ডাকাতির ঘটনায় তিনি ১৩ বছর কারাভোগ করেন এবং ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পান। তার বিরুদ্ধে একাধিকবার জেলে শাস্তি পেয়েছেন এবং একসময় বিচারকার্যে অংশ নেওয়া জুরি সদস্যদের হুমকিও দিয়েছেন। এই ঘটনায় ড্রামন্ডের বিরুদ্ধে চারটি হত্যাকাণ্ড, একটি অপহরণ এবং অস্ত্র আইনে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও, ড্রামন্ডকে পালাতে সাহায্য করায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জ্যাকসন পুলিশ প্রধান থম করলি বলেছেন, "এই গ্রেফতার আমাদের সমাজে আবার শান্তি ফিরিয়ে আনার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।" তদন্ত এখনও চলমান এবং পুলিশ জানিয়েছে, তারা দ্রুতই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনবে।    এলএবাংলাটাইমস/ওএম