আমেরিকা

ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ড পাঠাচ্ছে তিন রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্য

যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন অঙ্গরাজ্য ওয়াশিংটন ডিসিতে অতিরিক্ত ন্যাশনাল গার্ড সদস্য পাঠাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যে রাজধানীতে প্রায় ৮০০ সৈন্য মোতায়েন করেছেন, তাদের শক্তি বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার গভর্নর প্যাট্রিক মোরিসি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের অনুরোধে তিনি রাজ্যের ৩০০ থেকে ৪০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য পাঠাবেন। সাউথ ক্যারোলাইনা পাঠাবে ২০০ সৈন্য এবং ওহাইও তাদের ন্যাশনাল গার্ড থেকে ১৫০ সামরিক পুলিশ পাঠাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গভর্নররা। সোমবার ট্রাম্প রাজধানীতে “পূর্ণ ও সম্পূর্ণ আইনহীনতা” চলছে দাবি করে ‘পাবলিক সেফটি এমার্জেন্সি’ ঘোষণা দেন। তবে ওয়াশিংটন ডিসির নির্বাচিত কর্মকর্তারা তার এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। শনিবার শত শত স্থানীয় বাসিন্দা এই দাবির প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। গত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এজেন্টরা ন্যাশনাল গার্ডের সঙ্গে রাজধানীর জনবহুল ও পর্যটনকেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে টহল দিচ্ছেন। কিন্তু এতে স্থানীয়দের বিরক্তি বাড়ছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে যেখানে ওয়াশিংটনের ৯২% বাসিন্দা ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসকে ভোট দিয়েছিলেন, সেখানে এখন ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সপ্তাহান্তে ডুপন্ট সার্কেলে শান্তিপূর্ণ মিছিল হয়। বিক্ষোভকারীরা “ফ্রি ডিসি” স্লোগান দিতে দিতে শহরের রাস্তায় মিছিল করেন। অনেকেই ঢাক বাজান, ঘণ্টা বাজান। ট্রাম্প রাজধানীকে “হিংস্র গ্যাং ও রক্তপিপাসু অপরাধীতে পূর্ণ” বলে দাবি করলেও ডিসির মেয়র মুরিয়েল বাউসার তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন ২০২৩ সালে অপরাধ বেড়েছিল, তবে পরে তা কমতে শুরু করে। ওয়াশিংটন মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের (এমপিডি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে খুনের ঘটনা ৩২% কমেছে এবং এটি ২০১৯ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। প্রাথমিক তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে সহিংস অপরাধ ২৬% কমেছে। ডাকাতির হারও ২৮% কমেছে। ট্রাম্প প্রশাসন শুরুতে ডিসির মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া হোম রুল অ্যাক্ট ব্যবহার করে। তবে সিটি কর্মকর্তারা আদালতে গেলে তা প্রত্যাহার করে। তবে বিচারক আনা রেয়েস বলেছেন, মেয়র বাউসারকে হোয়াইট হাউসের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম