আমেরিকা

ট্রাভেল হিস্টরি থাকা সত্ত্বেও বি১/বি২ ভিসা প্রত্যাখ্যান: অফিসার জোরে কথা বলছিলেন, আচরণ ছিল রূঢ়’

সম্প্রতি ভারতের দিল্লি কনস্যুলেটে এক আবেদনকারীর যুক্তরাষ্ট্রের বি১/বি২ ভিসা প্রত্যাখ্যানের অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। ভ্রমণের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও দেশে দৃঢ় পারিবারিক বন্ধন থাকা সত্ত্বেও ভিসা না পাওয়ায় আবেদনকারী হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, তার পরিকল্পনা ছিল বাবা-মাকে নিয়ে ১৩ দিনের জন্য নিউইয়র্ক ভ্রমণের। ‘অফিসার ছিলেন খারাপ মেজাজে’

আবেদনকারী বলেন, “পুরো প্রক্রিয়াটা বেশ স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। খুব বেশি সময়ও অপেক্ষা করতে হয়নি। কেবল একজন ভারতীয় অফিসার ছিলেন, গায়ের রং কালো আর মেজাজ ছিল ভয়ানক খারাপ। তিনি জোরে কথা বলছিলেন, একদম বন্ধুসুলভ ছিলেন না। প্রতিটি কথায় তার বিরক্তি প্রকাশ পাচ্ছিল। ছোট ছোট বিষয়েও ব্যাখ্যা চাইছিলেন।” আবেদনকারীর দাবি, ওই অফিসার ছিলেন বুথ নম্বর ১২-তে এবং সেদিন বহু আবেদনকারীকে তিনি প্রত্যাখ্যান করছিলেন। নিজের পালা এলে আবেদনকারী সৌজন্যবশত বলেন, “হ্যালো, গুড মর্নিং স্যার।” কিন্তু কোনো জবাব না দিয়ে অফিসার সরাসরি পাসপোর্ট চান এবং প্রশ্ন করা শুরু করেন—ভ্রমণের উদ্দেশ্য, পূর্ববর্তী ট্রিপ, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি নিয়ে। ‘কেন ২৩ বছর বয়সে এখনো ব্যাচেলর করছেন?’

আবেদনকারী বলেন, “আমি জানাই, বাবা-মার সঙ্গে ১৩ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চাচ্ছি। তারা ইতিমধ্যে ভিসা পেয়েছেন। আমি প্যারিস, ইতালি, রোম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও আরও কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করেছি। যখন জানালাম আমি বিএসসি প্রথম বর্ষে পড়ছি, তখন তিনি রেগে গিয়ে চিৎকার করে জিজ্ঞেস করলেন—‘তুমি ২৩ বছর বয়সে এখনো ব্যাচেলর করছ কেন?’” তিনি আরও বলেন, পারিবারিক সমস্যা, একটি গ্যাপ ইয়ার ও সম্প্রতি প্রিয়জন হারানোর বিষয়টিও অফিসার বিস্তারিত জানতে চান। আবেদনকারী শান্তভাবে সব ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করলেও অফিসার অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত ভিসা প্রত্যাখ্যান করেন। ‘অভিজ্ঞতা ছিল মানসিকভাবে ক্লান্তিকর’

আবেদনকারী বলেন, “ভিসা প্রত্যাখ্যানের পর আমি হতবাক হয়ে যাই, প্রচণ্ড রাগও লাগে। তিনি শুধু বললেন—তোমার পরিস্থিতি বদলালে আবার আবেদন করো।” এই অভিজ্ঞতা স্মরণ করিয়ে দেয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া অনেক সময় আবেদনকারীদের জন্য মানসিকভাবে ক্লান্তিকর হতে পারে। তাই আবেদনকারীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে—সৎ থাকা, শান্ত থাকা ও সব প্রয়োজনীয় নথি প্রস্তুত রাখা জরুরি। তবে, সবকিছু ঠিক থাকলেও ফলাফল অনেক সময় অনিশ্চিত থাকতে পারে।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম