আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে “নো কিংস” বিক্ষোভের আগে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পবিরোধী “নো কিংস” আন্দোলনের আগে কয়েকটি রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিক্ষোভ আয়োজকরা জানিয়েছেন, সারা যুক্তরাষ্ট্রের ২,৫০০-এর বেশি স্থানে এই আন্দোলনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তারা ট্রাম্পের “স্বৈরাচারী নীতি ও কর্তৃত্ববাদ” বিরোধী অবস্থান ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা অভিযোগ করেছেন, এই আন্দোলনের সঙ্গে “বামপন্থী সংগঠন অ্যান্টিফা” জড়িত। টেক্সাস ও ভার্জিনিয়ায় সেনা মোতায়েন টেক্সাস ও ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা ইতিমধ্যে তাদের রাজ্যের ন্যাশনাল গার্ড সক্রিয় করেছেন। তবে সেনা উপস্থিতি কতটা দৃশ্যমান হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন যে, রাজ্যের রাজধানী অস্টিনে নির্ধারিত বিক্ষোভের আগে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন থাকবে। তিনি বলেন, “এই বিক্ষোভ অ্যান্টিফা-সম্পৃক্ত হওয়ায় আগাম নিরাপত্তা ব্যবস্থা জরুরি।” এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন ডেমোক্র্যাট নেতারা। টেক্সাসের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট জিন উ বলেন, “শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনে সশস্ত্র বাহিনী পাঠানোই তো রাজা ও একনায়কদের কাজ — আর গ্রেগ অ্যাবট তা প্রমাণ করলেন।” অন্যদিকে ভার্জিনিয়ার গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিনও একই পদক্ষেপ নিয়েছেন, রাজ্যের ন্যাশনাল গার্ডকে সক্রিয় রাখার নির্দেশ দিয়ে। “নো কিংস” আন্দোলনের পটভূমি আয়োজকদের দাবি, এই আন্দোলন ট্রাম্পের “স্বৈরাচারী মনোভাব”ের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি করবে। তাদের ওয়েবসাইটে লেখা আছে: “রাষ্ট্রপতি মনে করেন, তার শাসন চূড়ান্ত ও প্রশ্নাতীত। কিন্তু আমেরিকায় কোনো রাজা নেই — আমরা বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতি ও নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে পিছপা হব না।” গত জুন মাসে অনুষ্ঠিত শেষ “নো কিংস” বিক্ষোভে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন মানুষ রাস্তায় নেমে ট্রাম্পের রাজনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। তবে কিছু রিপাবলিকান নেতা এই আন্দোলনকে “হেইট আমেরিকা র‍্যালি” বলে আখ্যা দিয়েছেন। কানসাসের সিনেটর রজার মার্শাল সিএনএনকে বলেন, “আমাদের হয়তো ন্যাশনাল গার্ড নামাতে হবে। আশা করি শান্তিপূর্ণ থাকবে — যদিও সন্দেহ আছে।” দেশজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী এই বৃহত্তম আন্দোলন ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম