মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ব্যাপক বিমান চলাচল বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, কারণ বিপুলসংখ্যক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA)।
সংস্থাটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৩০টি প্রধান বিমানবন্দরের অর্ধেকেই কর্মীসংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিউইয়র্কে ৮০ শতাংশ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার অনুপস্থিত ছিলেন সপ্তাহান্তের আগেই।
এই পরিস্থিতির পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সরকারি কার্যক্রম স্থগিত (shutdown) অবস্থা, যা দ্বিতীয় মাসে প্রবেশ করেছে। এর ফলে প্রায় ১৩,০০০ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার বেতন ছাড়াই কাজ করছেন।
এফএএ জানিয়েছে, “৩১ দিন ধরে বেতন না পাওয়ায় কর্মীরা চরম মানসিক চাপ ও ক্লান্তির মধ্যে রয়েছেন।”
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের পাশাপাশি ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (TSA)-এর কর্মকর্তারাও বেতন ছাড়া কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ তারা অত্যাবশ্যকীয় সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিবেচিত।
সংস্থাটি কংগ্রেস সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “সরকারি অচলাবস্থা দ্রুত সমাধান করুন, যাতে কর্মীরা তাদের প্রাপ্য বেতন পান এবং যাত্রীরা আরও বিলম্ব ও ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।”
এফএএ আরও জানিয়েছে, কর্মীসংকটের কারণে বিমান চলাচলের প্রবাহ হ্রাস করতে হচ্ছে নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য।
তারা সতর্ক করে বলেছে, “এর ফলে আরও বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত বা বাতিল হতে পারে।” শুক্রবার একদিনেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬,০০০টি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে এবং প্রায় ৫০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্লাইট পর্যবেক্ষণ সংস্থা FlightAware। পরিবহন মন্ত্রী শন ডাফি (Sean Duffy) ফক্স নিউজকে বলেন, “এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছেন। এরা অনেকেই মাসিক বেতনের ওপর নির্ভর করে জীবনযাপন করেন। এখন তারা গাড়ির জ্বালানি, শিশু যত্ন ও গৃহঋণের খরচ নিয়ে উদ্বিগ্ন।” এদিকে, সরকারি তহবিল পুনরায় চালুর প্রস্তাবিত রিপাবলিকান বিলটি সেনেটে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। ডেমোক্র্যাটরা সরকারের পুনরায় চালু করার বিনিময়ে স্বাস্থ্যবিমার কর ছাড় সম্প্রসারণ এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেডিকেইড কাটছাঁট প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন। বর্তমানে এই অচলাবস্থা কেবল প্রশাসন নয়, দেশজুড়ে বিমান চলাচল ও যাত্রীদের স্বাভাবিক ভ্রমণ ব্যবস্থাকেও মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
তারা সতর্ক করে বলেছে, “এর ফলে আরও বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত বা বাতিল হতে পারে।” শুক্রবার একদিনেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬,০০০টি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে এবং প্রায় ৫০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্লাইট পর্যবেক্ষণ সংস্থা FlightAware। পরিবহন মন্ত্রী শন ডাফি (Sean Duffy) ফক্স নিউজকে বলেন, “এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছেন। এরা অনেকেই মাসিক বেতনের ওপর নির্ভর করে জীবনযাপন করেন। এখন তারা গাড়ির জ্বালানি, শিশু যত্ন ও গৃহঋণের খরচ নিয়ে উদ্বিগ্ন।” এদিকে, সরকারি তহবিল পুনরায় চালুর প্রস্তাবিত রিপাবলিকান বিলটি সেনেটে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। ডেমোক্র্যাটরা সরকারের পুনরায় চালু করার বিনিময়ে স্বাস্থ্যবিমার কর ছাড় সম্প্রসারণ এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেডিকেইড কাটছাঁট প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন। বর্তমানে এই অচলাবস্থা কেবল প্রশাসন নয়, দেশজুড়ে বিমান চলাচল ও যাত্রীদের স্বাভাবিক ভ্রমণ ব্যবস্থাকেও মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম