যুক্তরাষ্ট্রে মাংকিপক্সে (Monkeypox) আরও এক রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে দ্বিতীয়বারের মতো এ ভাইরাসে আক্রান্ত একজনের খবর নিশ্চিত করল মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) জানিয়েছে, নতুন আক্রান্ত ব্যক্তি মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা এবং সম্প্রতি নাইজেরিয়া ভ্রমণ শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছেন। রোগীর উপসর্গ তুলনামূলকভাবে হালকা এবং তিনি বর্তমানে সুস্থতার পথে আছেন।
এর আগে চলতি বছর টেক্সাসে এক ব্যক্তি নাইজেরিয়া থেকে ফেরার পর একই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
CDC জানায়, এ ঘটনায় সাধারণ জনগণের বিশেষ কোনো সতর্কতা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। সংস্থাটি আন্তর্জাতিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন ও স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসতে পারেন—এমন সম্ভাব্য যাত্রীদের শনাক্তে কাজ করছে।
তবে সংস্থাটির বিশ্বাস, কোভিড-১৯ সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের কারণে বিমানবন্দরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি খুবই কম।
বিশেষজ্ঞরা জানান, মাংকিপক্স হলো স্মলপক্স বা গুটি বসন্তের মতো একই পরিবারভুক্ত ভাইরাস, তবে এর সংক্রমণ তুলনামূলক হালকা। CDC বলছে, এটি বিরল হলেও সম্ভাব্যভাবে গুরুতর ভাইরাসজনিত অসুস্থতা, যা সাধারণত ফ্লু-সদৃশ জ্বর এবং লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়ার মাধ্যমে শুরু হয়। পরবর্তীতে মুখমণ্ডল ও শরীরে র্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংক্রমণ দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয়।
CDC-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫৮ সালে গবেষণার জন্য রাখা বানরের কলোনিতে বসন্ত-সদৃশ রোগের দুটি প্রাদুর্ভাবের সময় প্রথমবার মাংকিপক্স শনাক্ত করা হয়। মানবদেহে প্রথম মাংকিপক্স সংক্রমণ রেকর্ড হয় ১৯৭০ সালে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে। এরপর থেকে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার আরও কয়েকটি দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
এলএবাংলাটাইমস/ওএম