মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প “চমৎকার সামগ্রিক স্বাস্থ্য”-এ আছেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক। সোমবার প্রকাশিত ক্যাপ্টেন শন বারবাবেল্লার লেখিত এক মেমোতে বলা হয়েছে, ৭৯ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টের হৃদযন্ত্র ও অ্যাবডোমেনের উন্নত ইমেজিং পরীক্ষায় ফল এসেছে “পুরোপুরি স্বাভাবিক”।
এর আগের দিন ট্রাম্প নিজে জানান, তিনি একটি এমআরআই করিয়েছেন, তবে কোন অংশ পরীক্ষা করা হয়েছে তা তিনি “জানেন না”। ডেমোক্র্যাট নেতারা, বিশেষ করে মিনেসোটা গভর্নর টিম ওয়ালজ, ট্রাম্পের বয়সজনিত উদ্বেগের কারণে স্ক্যানের ফল প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
বারবাবেল্লা জানান, অক্টোবরের শারীরিক পরীক্ষায় ট্রাম্পের এ স্ক্যান করা হয়, কারণ এই বয়সের পুরুষদের কার্ডিওভাসকুলার ও অ্যাবডোমিনাল সিস্টেমের বিস্তারিত মূল্যায়ন উপকারী। তাঁর ভাষায়, হৃদযন্ত্র বা প্রধান ধমনিতে রক্তপ্রবাহে বাধার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং ট্রাম্পের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম “চমৎকার স্বাস্থ্য” প্রদর্শন করেছে। অ্যাবডোমিনাল ইমেজিংয়েও সবকিছু “স্বাভাবিক সীমার মধ্যে” পাওয়া গেছে।
তবে মেমোতে স্পষ্ট করে বলা হয়নি এটি এমআরআই নাকি সিটি স্ক্যান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সতর্কতামূলক কারণে নিয়মিত এমআরআই করা সাধারণত প্রচলিত নয়। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার জেরিয়াট্রিক বিশেষজ্ঞ ড. কার্লা পেরিসিনোত্তি বলেন, কিছু মানুষ বয়সভিত্তিক গাইডলাইন ছাড়াও অতিরিক্ত পরীক্ষা করিয়ে থাকেন। আর নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ড. জেফরি এল লিন্ডার জানান, উপসর্গবিহীন রোগীদের ক্ষেত্রে নিয়মিত এনাটমিকাল ইমেজিং সাধারণত নিরুৎসাহিত করা হয়।
রবিবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছিলেন, ফল প্রকাশ করতে তাঁর আপত্তি নেই। তিনি বলেন, “আমি জানি না কোন অংশের এমআরআই ছিল। এটা মগজ ছিল না, কারণ আমি কগনিটিভ টেস্ট দিয়েছি এবং আমি সেটি একদম নিখুঁতভাবে পাস করেছি।”
গত এপ্রিলেও ট্রাম্প বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। পরে অক্টোবর মাসে ওয়াল্টার রিড মেডিকেল সেন্টারে তিনি আরেকটি এমআরআই করান, যেটিকে হোয়াইট হাউস তাঁর “রুটিন চেকআপ”-এর অংশ বললেও কোন অঙ্গ পরীক্ষা করা হয়েছে তা জানায়নি।
বারবাবেল্লার ভাষায়, এ পরীক্ষা ছিল একেবারেই প্রতিরোধমূলক—“স্বাস্থ্যগত সমস্যা আগে থেকেই শনাক্ত করা, সামগ্রিক সুস্থতা নিশ্চিত করা এবং দীর্ঘমেয়াদি সুস্বাস্থ্যের স্থায়িত্ব বজায় রাখার জন্য।” সোমবার হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সংবাদ সম্মেলনে মেমোটি পড়ে শোনান।
এদিকে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রাম্পকে ফোলা গোড়ালি, ডান হাতে আঘাতের দাগ এবং বিভিন্ন বৈঠকে ঝিমিয়ে পড়া অবস্থায় দেখা গেছে। জুলাই মাসে হোয়াইট হাউস জানায়, তাঁর ভেরিকোজ ভেইনের মতো সমস্যা—ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি—ধরা পড়েছে, যা পায়ে ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম