ট্রাম্প প্রশাসন ১৯টি দেশের নাগরিকদের সব ধরনের ইমিগ্রেশন আবেদন — এমনকি নাগরিকত্ব গ্রহণের শপথ অনুষ্ঠানও — সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে দু’জন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলির ঘটনার পর আইনি ইমিগ্রেশনে নতুন নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে অভ্যন্তরীণ দপ্তরের নির্দেশনা এবং সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে।
CBS নিউজের হাতে আসা ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (USCIS)-এর অভ্যন্তরীণ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সংস্থার কর্মীদের ১৯টি দেশের নাগরিকদের সব ধরনের মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এর অর্থ, এই দেশের বৈধ স্থায়ী বাসিন্দারা যারা মার্কিন নাগরিকত্বের শপথ গ্রহণের একেবারে শেষ ধাপে ছিলেন, তাদের অনুষ্ঠানও স্থগিত করা হবে। প্রশাসন বাড়তি যাচাই-বাছাই নীতির দিকনির্দেশনা তৈরি না করা পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, “এই স্থগিতাদেশ সব ধরনের ফর্ম, আবেদন অনুমোদন-অস্বীকৃতি এবং শপথ অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকেও অন্তর্ভুক্ত করে।”
চলতি বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জারি করা প্রোক্লেমেশনের অধীনে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেনসহ মোট ১৯ দেশের ওপর ভ্রমণ ও প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলার ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা থাকে।
গত সপ্তাহের ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার পর ট্রাম্প প্রশাসন বেশ কিছু কঠোর ইমিগ্রেশন নীতি ঘোষণা করেছে — যার মধ্যে রয়েছে সব আশ্রয় (asylum) আবেদন স্থগিত করা, আফগানদের ভিসা ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা এবং ১৯টি দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড আবেদন পুনর্বিবেচনা করা। তবে সব ধরনের USCIS মামলার সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ এখনই প্রথম প্রকাশ্যে জানা গেল।
হামলার অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন আফগান, যিনি ২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসনের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন এবং ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে আশ্রয় অনুমোদন পেয়েছিলেন। এরপরই জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
মঙ্গলবার প্রকাশিত USCIS-এর একটি মেমোতে বলা হয়েছে, স্থগিতাদেশ উঠবে কেবল তখনই, যখন USCIS পরিচালক আরেকটি নতুন মেমো জারি করবেন। সন্দেহজনক কোনো মামলার ক্ষেত্রে পুনঃসাক্ষাৎকারসহ কঠোর নিরাপত্তা যাচাই করা হবে।
একাধিক ইমিগ্রেশন আইনজীবী জানিয়েছেন, তাদের ক্লায়েন্টদের নাগরিকত্ব গ্রহণসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া হঠাৎ স্থগিত বা বাতিল করা হয়েছে।
USCIS-এর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা মাইকেল ভালভার্দে বলেছেন, অতীতে কিছু ক্ষেত্রে সীমিত সময়ের জন্য নির্দিষ্ট গ্রুপের আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে, তবে এই মাত্রায় সব বিভাগে একযোগে স্থগিতাদেশ “অভূতপূর্ব”। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক ঘটনার পর নিষেধাজ্ঞার তালিকা বাড়িয়ে মোট প্রায় ৩০টি দেশে নিতে প্রশাসন বিবেচনা করছে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম
USCIS-এর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা মাইকেল ভালভার্দে বলেছেন, অতীতে কিছু ক্ষেত্রে সীমিত সময়ের জন্য নির্দিষ্ট গ্রুপের আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে, তবে এই মাত্রায় সব বিভাগে একযোগে স্থগিতাদেশ “অভূতপূর্ব”। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক ঘটনার পর নিষেধাজ্ঞার তালিকা বাড়িয়ে মোট প্রায় ৩০টি দেশে নিতে প্রশাসন বিবেচনা করছে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম