মার্কিন ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস (এনপিএস) ঘোষণা করেছে যে আগামী ২০২৬ সাল থেকে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র দিবস এবং জুনটিন্থ আর ফি-ফ্রি প্রবেশের তালিকায় থাকবে না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে পার্ক সার্ভিসের ‘মডার্নাইজেশন’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা কয়েকটি নির্দিষ্ট দিনে বিনামূল্যে জাতীয় উদ্যানগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন—যার মধ্যে রয়েছে প্রেসিডেন্টস ডে, মেমোরিয়াল ডে, ফ্ল্যাগ ডে/ট্রাম্পের জন্মদিন, স্বাধীনতা দিবসের সপ্তাহান্ত, ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিসের ১১০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, সংবিধান দিবস, থিওডর রুজভেল্টের জন্মদিন এবং ভেটেরানস ডে। তবে নন-সিটিজেনদের ওই দিনগুলোতেও প্রবেশ ফি দিতে হবে।
অন্যদিকে, বিডেন প্রশাসনের সময় যে দুটি দিন—এমএলকে দিবস এবং জুনটিন্থ—ফ্রি এন্ট্রির অন্তর্ভুক্ত ছিল, সেগুলো ট্রাম্প প্রশাসন বাদ দিয়েছে। এর পরিবর্তে যুক্ত করা হয়েছে ফ্ল্যাগ ডে, যা একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্মদিন।
এনপিএস জানায়, নতুন নীতিমালায় বার্ষিক পার্ক পাস যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসীদের জন্য পূর্বের মতোই ৮০ ডলারে থাকবে। কিন্তু বিদেশি পর্যটকদের জন্য এর দাম বাড়িয়ে ২৫০ ডলার করা হচ্ছে। যাদের পাস নেই, তাদের ১১টি জনপ্রিয় পার্কে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাথাপিছু ১০০ ডলার অতিরিক্ত দিতে হবে, পাশাপাশি প্রচলিত প্রবেশমূল্যও পরিশোধ করতে হবে।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব ডগ বারগাম বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্ব সবসময়ই আমেরিকান পরিবারকে অগ্রাধিকার দেয়। যেহেতু মার্কিন করদাতারা ন্যাশনাল পার্ক সিস্টেমকে সমর্থন করে, তাই তাদের সাশ্রয়ী প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীরাও যেন নিজেদের ন্যায্য অংশের অবদান রাখে, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।”
স্বরাষ্ট্র দফতর অনুমান করেছে, বিদেশি দর্শনার্থীদের ওপর অতিরিক্ত চার্জ আরোপের মাধ্যমে বছরে ৯ কোটি ডলারের বেশি রাজস্ব আসতে পারে।
এর আগে, এ বছর দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন ট্রাম্প ডাইভারসিটি, ইকুইটি অ্যান্ড ইনক্লুশন (ডিইআই) প্রোগ্রাম বাতিল করে নির্বাহী আদেশে সই করেন, যার ফলে বহু সংস্থা এমএলকে দিবস ও জুনটিন্থসহ ডিইআই-সম্পর্কিত ছুটির উদযাপন নিষিদ্ধ করে। যদিও উভয় দিনই জাতীয় ছুটি হিসেবে বহাল রয়েছে।
এছাড়া, জুন মাসে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়, যা ফ্ল্যাগ ডে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্মদিনের সঙ্গেই মিলেছিল।
এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে হোয়াইট হাউসের সাথে যোগাযোগ করেছে বিবিসি।