আমেরিকা

ট্রাম্প প্রশাসনে বড় পরিবর্তনের আভাস: নতুন বছরে বরখাস্ত হতে পারেন নোম, প্যাটেল ও হেগসেথ

একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২৬ সালের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনে বড় ধরনের পুনর্গঠন করতে পারেন। এতে তিনজন শীর্ষ কর্মকর্তা—প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোম এবং এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল—বরখাস্তের ঝুঁকিতে আছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ডেইলি বিস্টের রিপোর্টে বলা হয়, ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের এক বছর পূর্তি—২০ জানুয়ারি ২০২৬—অতিক্রম না হওয়া পর্যন্ত বড় পরিবর্তন আনতে চাইছেন না। তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন এই মন্তব্যকে সম্পূর্ণ “ভুয়া খবর” বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে যোগ্য ও দক্ষ মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। এসব প্রতিবেদন পুরোপুরি মিথ্যা।” কেন চাপের মুখে তিন কর্মকর্তা? ১. ক্রিস্টি নোম – লিউয়ানডোস্কির ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক নোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ট্রাম্পের সাবেক প্রচার ব্যবস্থাপক কোরি লিউয়ানডোস্কিকে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটিতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়েছেন। দ্য বালওয়ার্ক জানায়, লিউয়ানডোস্কি নাকি সংস্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণে “অস্বাভাবিক প্রভাব” খাটাচ্ছেন। তবে নোম ও লিউয়ানডোস্কি দু’জনই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।   ২. পিট হেগসেথ – ক্যারিবিয়ান সমুদ্রে প্রাণঘাতী নৌ-অভিযান হেগসেথের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালে ক্যারিবিয়ান সাগরে পরিচালিত নৌ-অভিযান ঘিরে। ওয়াশিংটন পোস্ট দাবি করেছে, হেগসেথ নাকি কমান্ডারদের বলেছেন “সবারে মেরে ফেলো”, যখন দুই জীবিত ব্যক্তি ধ্বংসস্তূপে ভাসমান অবস্থায় দেখা যায়। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও বিতর্ক থামেনি। এছাড়া আগের একটি কেলেঙ্কারিও ফের প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে তদন্তে দেখা যায় হেগসেথ গোপন সামরিক তথ্য ভুল করে সাংবাদিক জেফ্রি গোল্ডবার্গকে পাঠিয়েছিলেন।   ৩. কাশ প্যাটেল – সরকারি সম্পদের ব্যক্তিগত ব্যবহার এফবিআই পরিচালক প্যাটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এফবিআইয়ের সম্পদ ব্যবহার করেছেন ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি নাকি তার প্রেমিকা, ২৭ বছর বয়সী কান্ট্রি গায়িকা অ্যালেক্সিস উইলকিনসের জন্য এজেন্টদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দিতে বলেছেন এবং তার এক বন্ধুকে মদ্যপান শেষে বাড়ি পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া প্যাটেল এফবিআইয়ের সরকারি জেট ব্যক্তিগত ভ্রমণ ও “ডেট নাইট”-এর জন্য ব্যবহার করেছেন বলে কংগ্রেসে সমালোচনা চলছে।   যদিও সব অভিযোগের মাঝেই হোয়াইট হাউস বলছে—এখনকার মন্ত্রিসভা “পুরোদস্তর সক্ষম” এবং কাউকে বরখাস্ত করার কোনো পরিকল্পনা নেই।