বাংলাদেশ

হরতাল বাড়ল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের চলমান ৭২ ঘণ্টার হরতাল আরো ৪৮ ঘণ্টা বাড়িয়ে শুক্রবার ছয়টা পর্য়ন্ত পালনের ঘোষণা দিয়েছে জোটটি। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ এই ঘোষণা দেন। চলমান অনির্দিষ্টকালের অবরোধও একই সঙ্গে চলবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়। চলমান ৭২ ঘণ্টার হরতাল পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার সকাল ছয়টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল। ৪৮ ঘণ্টা বাড়ানোয় তা এখন শেষ হবে আগামী শুক্রবার সকাল ছয়টা। দেশব্যাপী ক্রসফায়ারের মাধ্যমে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীকে গুলি করে হত্যা ও দেশব্যাপী গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে,  জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার,  গ্রেফতারকৃত ২০ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও সবরাজবন্দীর মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে হরতাল কর্মসূচি পালন করছে ২০ দল। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রক্ষমতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের নেশায় গোটা জাতি আজ চরম শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে নিপতিত। অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার ঘৃণ্য চক্রান্ত বাস্তবায়নে রাষ্ট্রযন্ত্রের চুড়ান্ত অপব্যবহারের এমন  নজির মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন কায়দায় হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন্- এমন অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় প্রকাশ্যে খালেদা জিয়ার আবাসস্থলের বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির লাইন কেটে দেয়ার এবং খাবার বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন। তার প্রতিটি কথার বাস্তবায়ন করেছে সরকার। তার নেতৃত্বে সোমবার  বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে হামলা করার মহড়া দেয়া হয়েছে। সারা দেশের মতো ‘আওয়ামী ষড়যন্ত্রের অংশ’ হিসেবে নিজেদের সমাবেশে নিজেরা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এর দায় বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চলছে। বিবৃতিতে সরকারকে হুঁশিয়ার করে সালাহউদ্দিন বলেন, “চলমান গণ-আন্দোলন গ্রাম-বাংলার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে।  খালেদা জিয়ার চুড়ান্ত ত্যাগ স্বীকারের বার্তা পৌঁছে গেছে কৃষাণীর উঠোন থেকে শুরু করে রাজধানীর গলিপথ পর্যন্ত।  খালেদা জিয়াকে অপমানিত ও আক্রান্ত করার  ‘নাটক মঞ্চস্থ করা’ বন্ধ না হলে বিএনপির  নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রের নির্দেশের অপেক্ষায় থাকবে না। অতএব আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করুন।” বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত  ‘গণতন্ত্র মুক্তির নিরন্তর সংগ্রাম’ অব্যাহত থাকবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।